স্টাফ রিপোর্টার ।।
দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফাতিমা তাসনিম পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) এক লিখিত পদত্যাগপত্রে তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সংগঠন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
তবে সংগঠন থেকে সরে দাঁড়ালেও তিনি থেমে যাননি দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনায়। তার মতে, এদেশের পুনর্গঠনে তরুণ সমাজের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। “তরুণরাই পারে আগামীর বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করতে। তাদের হাতেই এদেশ নিরাপদ,” — এমনটাই জানালেন তিনি।
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার লেমুপাড়া গ্রামে সম্ভ্রান্ত এক পরিবারে জন্ম ফাতিমা তাসনিমের। পিতা শাহাবুদ্দিন তালুকদার ও মাতা আকলিমা বেগম। শিক্ষাজীবনে তিনি বড় বালিয়াতলী দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল, সিদ্ধেশ্বরী কলেজ থেকে এইচএসসি এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

নুরুল হক নুর ও রাশেদ খানের সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফাতিমা তাসনিম
ছাত্রজীবনে তিনি ছিলেন বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রী। ২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনের সময় তার সংস্পর্শে আসে গণঅধিকার পরিষদ এবং ভিপি নূরের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে যুক্ত হন সংগঠনে। তখন থেকেই তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে ভূমিকা রাখেন এবং কমিটির উচ্চতর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তিনি গণঅধিকার পরিষদের ভূমিকাকে উল্লেখযোগ্য বলে মনে করেন। কোটা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন পর্যন্ত সংগঠনের নেতৃত্ব ছিল গণমানুষের পক্ষে। “দেশের সর্বত্র ভারসাম্য ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনা আমাদের প্রধান লক্ষ্য,”— বলেন তিনি।
তবে পদত্যাগের পর তিনি নতুন কোনো দলে যোগ দিবেন, নাকি রাজনীতি থেকেই বিদায় নেবেন— সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি ফাতিমা তাসনিম। পটুয়াখালী-৪ আসনের সাধারণ মানুষদের নিয়ে একটি উন্নয়নমুখী বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। সেই স্বপ্ন কি তবে অধরাই রয়ে যাবে? উত্তর সময়ই বলবে।