ঢাকাবার্তা ডেস্ক ।।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পিটিআই নেতা ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদে ‘ফাইনাল কল’ শীর্ষক সমাবেশ ডেকেছিল পিটিআই। সোমবার রাতে হাজার হাজার সমর্থক ডি-চক এলাকায় জড়ো হন। ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি কর্মী-সমর্থকদের সেখানে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।
তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অভিযানে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হন। এ সময় সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনাও ঘটে। নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
পিটিআই দাবি করেছে, বিক্ষোভে তাদের ৮ সমর্থক নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, সরকার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানায়, বিক্ষোভকারীদের গাড়ি হামলায় তিনজন রেঞ্জার এবং সংঘর্ষে এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন।
পিটিআইয়ের দাবি ছিল তিনটি—ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ‘ছিনিয়ে নেওয়া’ ম্যান্ডেট পুনরুদ্ধার, ইমরানসহ রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি এবং বিচার বিভাগে সরকারের হস্তক্ষেপ বন্ধ করা। কিন্তু কোনো দাবি পূরণ না হওয়ায় পিটিআই এখন চাপে রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাইঘাম খান জানান, এই ব্যর্থ সমাবেশ পিটিআইয়ের কৌশলের জন্য বড় ধাক্কা। দলের মধ্যকার বিভাজন এবং নেতৃত্বের সংকট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।
বুশরা বিবি ও আলী আমিন গান্দাপুরের হঠাৎ সরে যাওয়ার ঘটনায় সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। এখন পিটিআই নতুন কৌশল নিতে পারে, যার মধ্যে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে, পিটিআই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের কথা বললেও তাদের সমর্থকরা সশস্ত্র ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মুখপাত্র রানা ঈশান আফজাল বলেন, “পিটিআই সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছিল মানুষের সহানুভূতি আদায়ের জন্য।”
বিশ্লেষকেরা বলছেন, পিটিআইকে তাদের দাবিগুলো আদায়ে শান্তিপূর্ণ উপায় এবং জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি দলটির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে।