ডেস্ক রিপোর্ট ।।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি এবং যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে পৃথক তদন্ত শুরু হয়েছে। সম্প্রতি গোপন থাকার পর বুধবার (৮ জানুয়ারি) কর্মস্থলে যাওয়ার পথে তাঁকে ক্যামেরাবন্দি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।
দুর্নীতির অভিযোগ ও সম্পত্তির বিষয়
টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের কাছ থেকে লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় একটি ফ্ল্যাট উপহার হিসেবে নিয়েছেন। ২০০৪ সালে কোনো অর্থ প্রদান ছাড়াই ফ্ল্যাটটি গ্রহণ করেন তিনি। এ ফ্ল্যাট সম্পর্কে একাধিকবার ভিন্ন তথ্য দিয়েছেন টিউলিপ। ২০২২ সালে তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর বাবা-মা এটি কিনে দিয়েছেন। তবে লেবার পার্টির সূত্র বলছে, এটি তাঁর খালার রাজনৈতিক সহযোগীর কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া।
তাছাড়া, টিউলিপ বর্তমানে যে ২১ লাখ পাউন্ড মূল্যের বাড়িতে বসবাস করছেন, সেটিও আওয়ামী লীগের লন্ডন শাখার এক কর্মকর্তার মালিকানাধীন।
বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা
বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৪০০ কোটি পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগেও টিউলিপকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা। এদিকে, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) টিউলিপ সিদ্দিক এবং শেখ হাসিনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করেছে।
টিউলিপের অবস্থান
টিউলিপ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বিষয়টি তদন্তের আহ্বান জানিয়ে ব্রিটিশ মন্ত্রিপরিষদের স্বাধীন উপদেষ্টা লাউরি ম্যাগনাসকে চিঠি লিখেছেন। যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারে দুর্নীতি প্রতিরোধে দায়িত্ব পালনকারী এ মন্ত্রী নিজেই দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের মুখোমুখি হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
ভবিষ্যৎ কার্যক্রম
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের পৃথক তদন্তে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা উঠে এলে এটি তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বড় আঘাত হানতে পারে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।