স্টাফ রিপোর্টার ।।
পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরের সংলগ্ন এলাকায় হাজী সেলিমের প্রতিষ্ঠান “মদিনা মেরিটাইম” এর নামে সাড়ে ১০ একর জমি ছিল, যা সরকার অধিগ্রহণ করেছে। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটির জন্য আরও সাড়ে ১০ একর জমি কেনার প্রক্রিয়া চলছে—এই তথ্য আদালতে হাজী সেলিমকে জানানো হয়েছে।
সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম আদালতে নিজ আইনজীবীর প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কারাগারে তিনি তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না, কথা বলতে পারছেন না এবং তার কথা কেউ ঠিকভাবে বুঝতেও পারছেন না—এসব কারণেই তিনি আদালতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় গ্রেফতার শুনানির পর তার আইনজীবী প্রাণ নাথ এ তথ্য জানান। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ ওই মামলায় হাজী সেলিমকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হাজী সেলিমসহ অন্যান্য আসামিদের হাজতখানায় আনা হয়। পরে পুলিশ পাহারায় হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তাকে আদালতে নেওয়া হয়। আদালতে তোলার পর পুলিশ তার হেলমেট খুলে দেয়, তখনই তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মেজাজ হারান এবং বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এরপর তার আইনজীবী আদালতের অনুমতি নিয়ে কাঠগড়ায় হাজী সেলিমকে দুই পৃষ্ঠার একটি প্রিন্ট করা কাগজ পড়তে দেন। আইনজীবীরা তাকে বিষয়গুলো বুঝিয়ে দেন। শুনানি শেষে আবারও পুলিশ পাহারায় তাকে হাজতখানায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়।