স্টাফ রিপোর্টার ।।
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক (নুর) বলেছেন, চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে না দাঁড়ালে দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতো। কিন্তু এখন সেই সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে বলে তিনি প্রশ্ন তোলেন।
শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিও জানান তিনি।
নুরুল হক বলেন, কিছু বুদ্ধিজীবী কৌশলে গণ–অভ্যুত্থানে সেনা কর্মকর্তাদের অবদান অস্বীকার করে বিভাজন তৈরি করতে চায়, যা দেশে নৈরাজ্যের ঝুঁকি তৈরি করছে। তিনি সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য নতুন কোনো জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজন নেই। ৫ আগস্ট জনগণ ইতোমধ্যে রায় দিয়েছে।’
সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল বের করা হয়, যা পল্টন থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব ঘুরে গণ অধিকারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ফারুক হাসান, হাসান আল-মামুন, তোফাজ্জল হোসেন, মনজুর মোর্শেদ মামুন, বিন ইয়ামিন মোল্লা ও আবদুর রহমানসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।
আগামীকাল শনিবার ঢাকাসহ সারা দেশে অবস্থান ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ।