রবিবার, ডিসেম্বর ৭, ২০২৫

ডেমোক্র্যাটদের পয়সা দিলে খবর আছে, ইলন মাস্ককে ডোনাল্ড ট্রাম্প

এনবিসি নিউজকে শনিবার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, মাস্কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শেষ এবং তা পুনঃস্থাপনের কোনো ইচ্ছা নেই।

by ঢাকাবার্তা
একটি ছবিতে এলন মাস্ককে ওভাল অফিসে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। মাস্ক ওভাল অফিসে নিজেকে স্বাচ্ছন্দ্যে রেখেছিলেন।

ডেস্ক রিপোর্ট ।।

প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক যদি ডেমোক্র্যাটদের পেছনে পয়সা খরচ করেন, তবে তিনি “গুরুতর পরিণতির” সম্মুখীন হবেন—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এনবিসি নিউজকে শনিবার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, মাস্কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শেষ এবং তা পুনঃস্থাপনের কোনো ইচ্ছা নেই।

“যদি তিনি ডেমোক্র্যাটদের সহায়তা করেন, তবে তার চরম মূল্য দিতে হবে,” বলেন ট্রাম্প। “আমি মনে করি, আমাদের সম্পর্ক এখন শেষ। আমি তার সঙ্গে আর কথা বলার কথা ভাবছিও না।”

সম্প্রতি মাস্ক রিপাবলিকানদের বাজেট বিলকে “একটা নিন্দনীয় সিদ্ধান্ত” বলে আখ্যা দেন। এই মন্তব্যের পর থেকেই ট্রাম্প-মাস্ক বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করে। মাস্কের এই অবস্থান, ট্রাম্পের ভাষ্যে, “প্রেসিডেন্টের দপ্তরের প্রতি অসম্মানজনক”।

বিতর্কিত বাজেট বিলটি, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘One Big Beautiful Bill Act’, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে খুব অল্প ব্যবধানে পাস হয়েছে এবং বর্তমানে সিনেটে বিবেচনারত। এতে ট্রাম্পের ২০১৭ সালের ট্যাক্স কাট সম্প্রসারণ, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং সামরিক খাতে নতুন ব্যয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে সেই খরচ মেটাতে মেডিকেইড, খাদ্য সহায়তা ও পরিবেশবান্ধব ট্যাক্স ক্রেডিটে কাটছাঁট প্রস্তাব করা হয়েছে।

কংগ্রেশনাল বাজেট অফিস ও স্বাধীন বিশ্লেষকদের মতে, বিলটি আগামী ১০ বছরে ২.৩ ট্রিলিয়ন থেকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাজেট ঘাটতি সৃষ্টি করতে পারে। তবে হোয়াইট হাউসের দাবি, ট্যাক্স কাট অর্থনীতিকে চাঙা করবে এবং ব্যয়ের ভার সামলে দেবে।

ট্রাম্প অবশ্য বিলটি সিনেটেও পাস হবে বলে আত্মবিশ্বাসী। “আমি খুব আত্মবিশ্বাসী, এটা পাস হবে। বরং ইলন মাস্কের সমালোচনার পর মানুষ আরও বেশি মনোযোগ দিয়েছে এই বিলে,” বলেন ট্রাম্প।

এদিকে, মাস্ক সম্প্রতি X (পূর্বতন টুইটার) থেকে একটি পোস্ট মুছে দেন, যেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কিত ব্যবসায়ী জেফ্রি এপস্টেইনের সম্পর্কের ইঙ্গিত ছিল। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, “ওটা পুরনো খবর। বহু আগেই তার আইনজীবীরা বলেছে, আমার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।”

এছাড়া মাস্ক নাসার স্পেসএক্স ড্রাগন স্পেসক্রাফট “অচল করে দেওয়ার” হুমকিও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এর পাল্টা হিসেবে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, স্পেসএক্সের ফেডারেল চুক্তি বাতিলের কথা ভাবা যেতে পারে—যদিও তিনি বলেন, “আমি এখনও তা নিয়ে কিছু ভাবিনি।”

মাস্কের এই অবস্থানের বিষয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, “মাস্ক একটা বিশাল ভুল করছে। তবে আমি মনে করি, সে আবেগপ্রবণ। আমি নিজেও অনেকবার মাথা গরম করেছি তার চেয়ে খারাপভাবে।”

ভ্যান্স আরও বলেন, “মাস্ক যদি একটু শান্ত হয়, তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে।”

You may also like

প্রকাশক : মানজুর এলাহী

সম্পাদক : হামীম কেফায়েত

ব‌ইচিত্র পাবলিশার্স
প্যারিদাস রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০
যোগাযোগ : +8801712813999
ইমেইল : news@dhakabarta.net