ডেস্ক রিপোর্ট ।।
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগসহ এর সব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্তে নির্দিষ্ট গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত ছিল, যা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার মানেনি।
মঙ্গলবার (১৪ মে) নয়া দিল্লিতে মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে জয়সওয়াল বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন, কারণ এভাবে একটি দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার পরিপন্থী এবং রাজনৈতিক পরিসর সংকুচিত করে।”
তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্রে কাজের একটা পদ্ধতি আছে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেই পদ্ধতি অনুসরণ না করে। এটি উদ্বেগজনক।”
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা চাই বাংলাদেশে দ্রুত একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।”
গত শনিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে।
এরপর সোমবার একটি সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আওয়ামী লীগের সাইবার ও মাঠ পর্যায়ের সব ধরনের রাজনৈতিক তৎপরতা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই পদক্ষেপের পক্ষে সরকার বলছে, এটি দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী-সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য জরুরি। তবে ভারত মনে করছে, এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপে যে পদ্ধতিগত ও আইনি প্রক্রিয়া থাকা উচিত, তা অনুসরণ হয়নি—যা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে উদ্বেগজনক।