রবিবার, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫

ছাত্রলীগ ছাত্রসংগঠন, নাকি একটি অপরাধী চক্র?

by ঢাকাবার্তা
জাকির হোসেন

জাকির হোসেন ।। 

সময় অবিরাম এগিয়ে চলে। তবে মাঝেমধ্যে থমকে দাঁড়ায়, নিজ দায়িত্বে মানুষের সব কৃতকর্মের হিসাব মিলিয়ে দেয়। সময়ের প্রয়োজন অনেক কিছু পাল্টে যায়। রাষ্ট্র পাল্টায়, সরকার পাল্টায়, শহর পাল্টায়, পাল্টে যায় শহরের দেয়াল। ছাত্র-জনতার কণ্ঠস্বরে জেগে ওঠা দেয়াললিখন দেখার এক বিরল সময়ের সাক্ষী হলাম আমরা।

আবার সময়ের প্রয়োজনে মানুষও পাল্টায় আর পাল্টায় বলেই মানুষ বাঁচে, বেঁচে থাকার এটাই নিয়ম। সময়ের প্রয়োজনে পাল্টে যায় কবিতার শিরোনাম। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের আগে যে কবির কবিতার শিরোনাম ছিল ‘বেশ্যার বেড়াল’, স্বাধীন দেশে দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে সেই কবির কবিতার শিরোনাম হয়ে গেল-‘ভাত দে হারামজাদা’।

সময় এক নিষ্ঠুর খেলোয়াড়। কয়েক দিন আগেও আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ভেবেছিলেন রাজনীতির মাঠে তাদের কোনো শক্ত প্রতিপক্ষ নেই। তারাই হলেন রাজনীতির মাঠের একাধিপতি। তাই দলের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন অতিউৎসাহী নেতা অনাহূত ‘খেলা হবে’ বলে দম্ভভরে অবিরাম চিৎকার করছিলেন। দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য এবং হেয়প্রতিপন্ন করছিলেন। কিন্তু ভরা বর্ষায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমন অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠবে, এটি তাদের বোধের মধ্যেই ছিল না। বিষণ্ন বর্ষার এক মধ্য দুপুরে ছুটে আসা এক বজ্রপাতে তাদের সব দম্ভ চূর্ণ হলো। রাজনীতির মাঠ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হলেন তারা। আর এরই মাধ্যমে গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের বুকের ওপর ফ্যাসিবাদ নামের যে জগদ্দল পাথর চেপে বসেছিল, তার আপাত পতন ঘটেছে।

শেখ হাসিনা। ফাইল ফটো

শেখ হাসিনা। ফাইল ফটো

ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের মাত্র চার দিন আগে গত ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সরকারের নির্বাহী আদেশে সন্ত্রাস দমন আইনের ১৮ ধারায় জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়। এ প্রজ্ঞাপন সম্প্রতি বাতিল করা হয়েছে। আর গত বুধবার আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসা-কোথায় ছিল না ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসী হাত? শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ভূমিকা থেকে বোঝার উপায় ছিল না, তারা কি বৃহত্তম ছাত্রসংগঠন, নাকি একটি অপরাধী চক্র?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীকে অপহরণ ব্যবসায় জড়িত থাকতে দেখা গেছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের নির্যাতনে নিহত হয়েছেন এক ছাত্র। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের অন্তঃকোন্দলে কয়েক দিন পরপরই কেউ না কেউ নিহত হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগেরই দুই পক্ষের টেন্ডার-দখলের মারামারিতে লাঠিয়ালের ভূমিকায় ব্যবহৃত হয়েছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ ঠগ বাছতে গা উজাড় দশা।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিশ্বজিৎ দাসকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের একদল কর্মী। ফাইল ছবি

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিশ্বজিৎ দাসকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের একদল কর্মী। ফাইল ছবি

সবখানেই আওয়ামী লীগ-যুবলীগের প্রভাবশালী নেতারা ব্যবসা-দখলদারি, টেন্ডারবাজি, এলাকায় দাপট ইত্যাদি কারণে ছাত্রলীগকে ব্যবহার করেছেন। চোরাকারবারি, মাদক ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু, অস্ত্রবণিক থেকে শুরু করে অন্ধকার জগতের হেন শক্তি নেই, যারা ছাত্রলীগকে ব্যবহার করেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের কাজ উন্নয়ন ও নিয়োগ-বাণিজ্যের বখরা আদায়। এই বখরা আদায়ের জন্যই তারা লিপ্ত হতো গ্রুপবাজির সংঘাতে। এই অবস্থায় ছাত্রলীগ আর ছাত্রদের অধিকার রক্ষার সহায়ক ছিল না। সন্ত্রাস-দুর্নীতি-অপরাধের লাঠিয়াল হিসেবে তাদের দ্বারা কল্যাণকর কিছু করা আর কিছু সম্ভব ছিল না।

শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয় ওয়ান ইলেভেনের সরকারের সময়। ওই সরকারের অধীনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পর ক্রমাগত দুঃশাসনের মুখোমুখি হয় দেশ। শাসকশ্রেণি সর্বগ্রাসী দানবীয় রূপ ধারণ করে। দালাল, বুদ্ধিজীবী, শহরের কিছু পেশাদার পাণ্ডা এবং গ্রাম্য টাউটের হাতে টাকার বান্ডিল ছুড়ে দিয়ে এ দেশের রাজনীতি শুরু হয় নতুন স্টাইলে। কালনাগিনীর মতো বিষাক্ত ফণা তুলে ‘হাইব্রিড’ রাজনীতিরা উঠে আসে রাজনৈতিক মঞ্চে। আইন হয়ে ওঠে প্রতিপক্ষ দমনের এক নগ্ন হাতিয়ার, রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ক্রমাগত বিস্তৃত হতে থাকে, শুরু হয় রাষ্ট্রের রাজনৈতিক হত্যা, দমন করা হয় সুষ্ঠু সাংবাদিকতার বিকাশ, হরণ করা হয় মানুষের বাক ও চিন্তার স্বাধীনতা। ফ্যাসিবাদ নামের মায়াবী ঘাতক সাংবাদিকতাকে ক্রমান্বয়ে গ্রাস করে। সুষ্ঠু সাংবাদিকতা মুখোমুখি হয় এক ঘোরতর দুঃসময়ের।

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ

কিন্তু সবকিছুরই একটা শেষ আছে। এক পর্যায়ে ভয়াবহ দুঃসময়ের মুখোমুখি হলো ফ্যাসিবাদ। লোকচক্ষুর অন্তরালে বেড়ে ওঠে ফ্যাসিবাদ বধের নায়করা। ফ্যাসিবাদ সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করলেও তারুণ্যকে তারা হত্যা করতে পারেনি। তারুণ্য ক্রমান্বয়ে জেগে উঠল ফ্যাসিবাদের জন্য এক ভয়ানক শ্বাপদ হয়ে। দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে ওরা দলে দলে এলো। শাসকের রক্তের পিপাসা মেটাতে ওরা বুক চিতিয়ে দাঁড়াল, প্রাণঘাতী বুলেটকে স্বাগত জানাল দ্বিধাহীন চিত্তে। রক্তে রঞ্জিত হলো পিচঢালা রাজপথ। সন্তানহারা মা-বাবার আর্তচিৎকারে কেঁপে উঠল আল্লাহর আরশ। জ্বলেপুড়ে ছারখার হলো জালেম শাহির তখতে তাউস। শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হলেন। সেই সঙ্গে আত্মগোপন করে তার পুলিশ বাহিনী। আধুনিক বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এ এক নজিরবিহীন ঘটনা। বিশ্বের কোনো দেশে এমনটি ঘটেছে বলে আমাদের জানা নেই। এর আগে আমাদের দেশে বেশ কয়েকটি ক্যু এবং পাল্টা ক্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেনা অভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। গণঅভ্যুত্থানে সামরিক স্বৈরাচারী হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন। কিন্তু দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের পর কেটে গেছে দুটি মাস। এই রক্তাক্ত অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা কর্তৃক নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন দেড় সহস্রাধিক মানুষ। রাজপথে এখনও রক্তের দাগ শুকায়নি। বাতাসে এখনও বারুদের গন্ধ।

এখনও থামেনি সন্তানহারা মায়ের আর্তনাদ। দুর্বিষহ যন্ত্রণায় এখনও আহতরা দিশাহারা। তাদের কষ্টে ভারী হয়ে আছে বাতাস। এমন দুঃসহ পরিস্থিতির মধ্যেই দূর থেকে ভেসে আসতে শুরু করেছে হায়েনার হাসি আর পিশাচের গর্জন। ফ্যাসিবাদীর অনুচররা আদিম সরীসৃপের মতো বুকে ভর দিয়ে আবার সক্রিয় হতে শুরু করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়াতে শুরু করেছে গুজব। এ গুজবের মাধ্যমে তারা হাসিনা আমলের সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, লুটপাট, ব্যাংক ডাকাতি, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার, বিশে^র উন্নত দেশে বেগমপাড়া তৈরি, আয়নাঘর তৈরির মাধ্যমে পৈশাচিক নির্যাতনসহ গুম, খুন ও অপহরণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধকে মানুষের স্মৃতি থেকে মুছে দিতে চায়। পলাতক জুজুর ভয় দেখিয়ে তারা সাধারণ মানুষের মন থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চায় আওয়ামী দুঃশাসনের সেই অভিশপ্ত পরিস্থিতি। এই মিশনে তারা এরই মধ্যে খানিকটা সফলও হয়েছে।

মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে অনেকেই আওয়ামী লীগ আমলের অত্যাচার, নির্যাতন ও নিপীড়নের সেই দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে শুরু করেছেন। আর এর বিপরীতে সামনে আসতে শুরু করেছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতা ও ব্যর্থতা, শুরু হয়েছে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসাবে। অনেকেই আশাহত হচ্ছেন, হতাশও হচ্ছেন কেউ কেউ। প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির হিসাব তারা মেলাতে পারছেন না। তবে এ কথা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, সরকারকে পথ চলতে হচ্ছে অন্তঃহীন সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে। রাত পোহালেই সকালটা সবসময় অরুণ আলোয় আলোকিত হয় না। পূর্বদিগন্তে এখনও ধূসর কালো মেঘের ঘনঘটা। ঝড় থামলেও মেঘ কাটেনি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে মাফিয়া রানী পালিয়ে গেলেও রাষ্ট্রের সব স্তরে রয়ে গেছে তার অনুসারীরা। শেখ হাসিনার প্রশাসনের মাধ্যমেই চলছে দেশ। রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তবে তা এখনও কমিশন গঠনের পর্যায়েই রয়ে গেছে। সংস্কারের উদ্যোগ এখনও কার্যকর হতে শুরু করেনি। আইন, আদালত, বিচারক কোনো কিছুই পাল্টায়নি, সাক্ষীরাও মিথ্যে সাক্ষী দিতে ভুলে যায়নি, ফলে প্রশাসন ও বিচারব্যবস্থায় এখনও গতি ফেরানো যায়নি।

ফ্যাসিবাদী সরকারের অর্থনৈতিক দুরাচারের চেয়ে নৈতিক ক্ষতিটা আরও ভয়াবহ। অতীতে আমরা বহু লেখক, সাংবাদিক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবীকে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেখেছি।

স্বৈরশাসকের নিপীড়নে তারা নষ্ট হননি, বশ্যতা স্বীকার করেননি, নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দেননি। কিন্তু আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে দেখলাম তাদের অনেকেই ফ্যাসিস্ট হাসিনার কাছে বশ্যতা স্বীকার করলেন, নির্লজ্জ দালালে পরিণত হলেন। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট ভোগ, সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তি এবং রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের লোভে তারা নীতি-নৈতিকতা বর্জন করে, বিবেককে বন্ধক রেখে শেখ হাসিনার পা-চাটা কুকুরে পরিণত হলেন। হাসিনার পতনের পর তারা কয়েক দিনের জন্য গা ঢাকা দিলেও এখন তারা আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোচ্চার হতে শুরু করেছেন। এ থেকে বোঝা যায় ফ্যাসিবাদ কত বেশি শক্তিশালী স্বৈরতন্ত্রের তুলনায়। স্বৈরতন্ত্র হলো এক ধরনের শৃঙ্খল।

এ দিয়ে মানুষকে বাঁধা যায়, নির্যাতন ও নিপীড়ন করা যায়, কিন্তু মানুষের মন ভোলানো যায় না, তাকে বসে আনা যায় না, যায় না পোষ মানানো, পরিণত করা যায় না দাসে। তাই অতীতে বৈরী পরিস্থিতিতে যারা স্বৈরাচারের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়েছিলেন, স্বৈরতন্ত্রের পতনের পর তাদের অনেকেই শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছেন। তারা স্বাধীন চিন্তা এবং মুক্তজীবনে ফিরে গেছেন। কিন্তু ফ্যাসিবাদ হলো অনেকটা আফিমের নেশার মতো। এটি মানুষকে অন্ধবিশ্বাসে আসক্ত করে। দুর্নীতি, দুঃশাসন, গুম, খুন এমনকি আয়নাঘর সৃষ্টির মতো মানবতাবিরোধী কাজকেও ফ্যাসিবাদ আদর্শায়িত করে। এসব পৈশাচিক অপরাধকে তারা মান্যতা দেয়, বৈধতা দেয়। এগুলোকে তারা কোনো অন্যায় বলে মনে করে না। ফলে ফ্যাসিবাদের পতন হলেও তার অনুসারীদের আমরা এসব মানবতাবিরোধী কাজের জন্য কোনো ধরনের অনুশোচনা বোধ করতে দেখি না।

মাফিয়াতন্ত্রের মহারানী জনরোষে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরও তার অনুসারীদের আমরা আগের মতোই শ্রদ্ধা-ভক্তি করতে দেখি। শেখ হাসিনা সর্বগ্রাসী দুর্নীতিবাজ এবং রক্তপিপাসু দানব হওয়া সত্ত্বেও তার প্রতি অনুসারীদের শ্রদ্ধাবোধ এতটুকু কমে না। ফ্যাসিবাদ আফিমের নেশার মতোই তার অনুসারীদের আচ্ছন্ন করে রাখে, তাদের এ নেশার ঘোর কখনো কাটতে চায় না। অত্যাচারী ফেরাউনও তার অনুসারীদের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। হিটলার ও মুসোলিনিও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। তবে তাদের শেষ পরিণতি ছিল মর্মান্তিক। নীল দরিয়ায় ডুবে মরেছিলেন পাষাণ ফেরাউন। মুসোলিনিকে গুলি করে হত্যার পর তার মরদেহ একটি রেলস্টেশনে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। হিটলারকে বেছে নিতে হয়েছিল আত্মহননের পথ। আর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্টদের মৃত্যু হয়েছে নির্বাসিত জীবনে, অনেকটা রাষ্ট্রহীন বেওয়ারিশ নাগরিকের মতো।

লেখক : সাংবাদিক ও গবেষক

You may also like

প্রকাশক : মানজুর এলাহী

সম্পাদক : হামীম কেফায়েত

ব‌ইচিত্র পাবলিশার্স
প্যারিদাস রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০
যোগাযোগ : +8801712813999
ইমেইল : news@dhakabarta.net