স্টাফ রিপোর্টার ।।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার আদালতে জানিয়েছেন, তিনি আর রাজনীতি করবেন না এবং আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকেও অব্যাহতি নিয়েছেন।
আজ সোমবার সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির হওয়ার পর তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর কাফরুল থানায় দায়ের করা আতিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় কামাল মজুমদারসহ ছয়জনকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও এ কে এম শহিদুল হককেও গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
সকাল ১০টা ২ মিনিটে বিচারক এজলাসে প্রবেশের আগেই কামাল মজুমদার রাগান্বিত স্বরে তাঁর আইনজীবীর কাছে জানতে চান, কেন তাঁর জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়নি। পরে বিচারক এজলাসে এলে তিনি কাঠগড়ার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে গিয়ে বিচারকের উদ্দেশ্যে কথা বলেন।
তিনি বলেন, “মাননীয় আদালত, আমি আর রাজনীতি করব না। আমি আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকেও অব্যাহতি নিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে।”
এই সময় তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন।
কামাল মজুমদার আদালতে অনুরোধ করেন, তাঁকে কারাগারে ডায়াবেটিস মাপার মেশিন ও ডিজিটাল কোরআন শরিফ সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হোক।
মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি শেষে কামাল মজুমদার আদালতের বারান্দায় সাংবাদিকদের বলেন, “আমি আজ থেকেই রাজনীতি থেকে অব্যাহতি নিলাম। এই দেশে রাজনীতি করার কোনো পরিবেশ নেই। আমরা চাই, নতুন যুব নেতৃত্ব আসুক।”
আজ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, কামাল মজুমদারসহ ছয়জনকে আদালতের হাজতখানা থেকে বের করা হয়। তাদের মধ্যে সালমান এফ রহমানের দুই হাতে হাতকড়া পরানো ছিল, অন্যদের এক হাতে হাতকড়া ছিল।
এর আগে, গত বুধবারও আদালতে হাজির করা হলে তাঁদের একইভাবে হাতকড়া পরানো হয়েছিল।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আজিজুল হক দিদার জানান, সালমান এফ রহমানসহ অন্যদের কীভাবে আদালতে তোলা হয়েছে এবং হাতকড়া পরানো হয়েছে কি না, সে বিষয়ে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই।