বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। বৃটেনের লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হওয়ার পর নিয়মিত থেরাপি পেয়ে তিনি কারও সাহায্য ছাড়াই হাঁটার চেষ্টা করছেন। ছেলেসহ স্বজনদের সান্নিধ্যে থাকার কারণে তিনি মানসিকভাবেও উজ্জীবিত।
লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হওয়ার পর খালেদা জিয়ার প্রয়োজনীয় বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে সকল পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ আল মামুন। এরপর মেডিকেল বোর্ড তার পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
ছেলে তারেক রহমান, দুই পুত্রবধূ এবং নাতনিদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন খালেদা জিয়া। তারেক রহমান মাকে নিয়মিত হাসপাতালে সময় দিচ্ছেন এবং বাসায় তৈরি খাবার নিজে নিয়ে যাচ্ছেন।
বিএনপি’র স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রতিদিন ক্লিনিকের সামনে এসে খালেদা জিয়ার খোঁজখবর নিচ্ছেন। দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, লন্ডনের ডাক্তাররা বলেছেন খালেদা জিয়ার দেশে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা হয়েছে।

পুত্রবধু জুবাইদা রহমানের সঙ্গে কথা বলছেন খালেদা জিয়া। ফাইল ফটো
গত ৭ জানুয়ারি কাতার আমীরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা থেকে লন্ডনে পাড়ি দেন খালেদা জিয়া। হিথ্রো বিমানবন্দরে ছেলেসহ স্বজনদের কাছে পৌঁছানোর মুহূর্তটি ছিল আবেগঘন। তারেক রহমান নিজে গাড়ি চালিয়ে মাকে লন্ডন ক্লিনিকে পৌঁছে দেন।
৭৯ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। ২০১৮ সালে দুর্নীতি মামলায় সাজা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২০২০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাহী আদেশে তার মুক্তি দিলেও শর্তসাপেক্ষে তাকে কার্যত গৃহবন্দি রাখা হয়।
উল্লেখ্য, উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি এবং পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন জানানো হলেও তা প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগ সরকার।