স্টাফ রিপোর্টার ।।
চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলায় মডেল মেঘনা আলম আদালতে দাবি করেছেন, তাঁর সম্পর্ক ছিল কেবল সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আলদুহাইলানের সঙ্গে। দেওয়ান সমিরকে তিনি চেনেন না বলে জানান।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) বিচারকের অনুমতি নিয়ে মেঘনা আলম এ বক্তব্য দেন। মামলার বিষয়ে শুনানিকালে তিনি বলেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত তাঁকে ফোন করেছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে বিয়ে হয়েছিল বলেও দাবি করেন।
চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে ১৫ এপ্রিল ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল আলীম মেঘনা, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা দুই-তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁয় গোপন বৈঠকে কূটনীতিকের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করা হয়। তবে এজাহারে ওই কূটনীতিকের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী জানান, মেঘনা আলম আদালতে দাবি করেন, দেওয়ান সমিরের সঙ্গে তাঁর কোনো পরিচয় নেই। অন্যদিকে দেওয়ান সমিরও আদালতে বলেন, তাঁকে মেঘনার ‘বয়ফ্রেন্ড’ বলা হলেও বাস্তবে তাঁদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই এবং তিনি মামলার ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

মেঘনা আলম
আদালত আজ মডেল মেঘনাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন এবং দেওয়ান সমিরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
এর আগে ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে মেঘনাকে আটক করে ডিবি। পরদিন ১০ এপ্রিল আদালত তাঁকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন। মেঘনাকে আটকের প্রক্রিয়া ও আটকাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তাঁর বাবা বদরুল আলম গত রোববার হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রুল জারি করেছে।
এদিকে ব্যবসায়ী দেওয়ান সমির এর আগে ভাটারা থানার আরেকটি চাঁদাবাজির মামলায় ১১ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন এবং ১২ এপ্রিল পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।