স্টাফ রিপোর্টার ।।
গতকাল বিকেলে মোহাম্মদপুর থানার সামনে শতাধিক মানুষের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে স্থানীয় জনতা বলেন, অপরাধীরা অস্ত্র প্রদর্শন করে চাঁদাবাজি করছে। এমনকি বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক গ্যাংয়ের সদস্যরা গণডাকাতিও করছে। কিন্তু পুলিশ তাঁদের আইনের আওতায় আনতে পারছে না।
স্থানীয় জনতার পক্ষে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য মুতাসিম বিল্লাহ ডাকাতি ও ছিনতাই নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশকে ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে মোহাম্মদপুর এলাকায় পুলিশের টহল বাড়াতে হবে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজি ও সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা না গেলে ছাত্র–জনতা মোহাম্মদপুর থানায় অবস্থান করবে।
প্রতিবাদ কর্মসূচি শেষে স্থানীয় জনতা মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসানের কক্ষে বৈঠক করেন। সেখানে তাঁরা পুলিশের তেজগাঁও অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিয়াউল হকের সঙ্গে কথা বলেন। স্থানীয় লোকদের বক্তব্য শুনে জিয়াউল হক বলেন, ৫ আগস্টের পর পুলিশের জনবল ও রসদসামগ্রীর ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তা ছাড়া মোহাম্মদপুরে যেসব পুলিশ সদস্য আছেন, তাঁদের অধিকাংশই নতুন। এমন পরিস্থিতিতে তাঁরা স্থানীয় জনতার সহায়তা চান। এ জন্য আজ রোববার তাঁরা স্থানীয় জনতার সঙ্গে বসে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন।
র্যাব-২–এর পরিচালক পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়া বলেন, অপরাধ ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব থাকতে পারে। অপরাধীদের ধরতে যৌথ বাহিনী ব্লক রেইড দিচ্ছে।