ফরিদপুর প্রতিনিধি ।।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ তিন দিন কারাভোগের পর আজ বুধবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তির সময় পরিবারের সদস্য ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় গত রোববার আদালত নায়াব ইউসুফের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠায়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১১ ডিসেম্বর ফরিদপুর সদরের গোলডাঙ্গি এলাকার এক চায়ের দোকানে বাকবিতণ্ডার সময় ইউসুফ ব্যাপারী নামের এক ব্যক্তি আঘাতে নিহত হন। পরদিন নিহতের ভাই সোহরাব ব্যাপারী বাদী হয়ে বিএনপির ৩৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। এজাহারে নায়াব ইউসুফের নাম ছিল ৩৮ নম্বরে, যেখানে তিনি হুকুমের আসামি হিসেবে উল্লেখিত।
আজ ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতে বাদী সোহরাব ব্যাপারী জানান, নায়াব ইউসুফের জামিনে তাঁর কোনো আপত্তি নেই। সরকারপক্ষের আইনজীবীরাও জামিনের বিরোধিতা করেননি।
নায়াব ইউসুফের পক্ষে ফরিদপুর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি শহীদুল্লাহ জাহাঙ্গীর যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এজাহারে নায়াব ইউসুফের ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার কোনো উল্লেখ নেই এবং তিনি একজন নারী ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য। আদালত বাদীর অনাপত্তি ও যুক্তি বিবেচনা করে তাঁকে ১০ হাজার টাকার মুচলেকায় স্থায়ী জামিন দেন।
জেলগেটে মুক্তি পাওয়ার পর নায়াব ইউসুফ বলেন, “আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট।” তাঁর মুক্তির সময় পরিবারের সদস্য ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা যায়।
এ মামলায় বাকি আসামিদের বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।