স্টাফ রিপোর্টার ।।
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পাল্টা শুল্কের কারণে ক্রীড়া সরঞ্জাম নির্মাতা নাইকি বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের উৎপাদনের বড় অংশ ভিয়েতনামে করে, যেখানে তাদের প্রায় ৫০ শতাংশ জুতা তৈরি হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামের ওপর ৪৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় নাইকির উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে, যা তাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
নাইকি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ক্রীড়া পোশাক ও জুতা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এর সদর দফতর যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগনের বিভারটনে অবস্থিত। ১৯৬৪ সালে বিল বোওয়ারম্যান ও ফিল নাইট এটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠানটির নাম হয় ‘নাইকি, ইনকর্পোরেটেড’, যা গ্রিক বিজয়ের দেবী নিকের নাম থেকে নেওয়া।
২০২২ অর্থবছরে নাইকির আয় ছিল ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বব্যাপী ৭৬,৭০০ কর্মী নিয়োগ দেয় এবং ২০২০ সালে এর ব্র্যান্ড মূল্য ছিল ৩২ বিলিয়ন ডলার, যা এটিকে ক্রীড়া শিল্পের সবচেয়ে মূল্যবান ব্র্যান্ডে পরিণত করেছে। ২০১৮ সালে ফরচুন ৫০০ তালিকায় এটি ৮৯তম স্থানে ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতির কারণে নাইকির শেয়ারমূল্য ইতিমধ্যে কমতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের দাম বাড়তে পারে, যা প্রতিযোগিতামূলক বাজারে তাদের অবস্থান দুর্বল করবে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় নাইকি তাদের উৎপাদন কৌশলে পরিবর্তন আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।