কলকাতা প্রতিনিধি ।।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার কর্মীদের দুঃসহ দিনযাপন এখন খবরে। প্রায় ১৩ মাস ধরে বেতনহীন অবস্থায় রয়েছেন অনেকেই, যার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাঙ্কর ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ। রাতের বেলা ট্যাক্সি চালিয়ে কোনোমতে সংসার চালাচ্ছেন তিনি। অথচ, এই চ্যানেলেই বাংলাদেশ নিয়ে নানা রকম প্রোপাগান্ডা এবং হিংসাত্মক অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়, যা দুই দেশের সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর।
বিশেষ করে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও পক্ষপাতদুষ্ট সমালোচনা তুলে ধরতে রিপাবলিক বাংলা ও ভারতের কিছু মিডিয়া ভূমিকা রেখেছে। তারা কার্যত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ করছে। এই ধরনের প্রতিবেশীসুলভ আচরণ কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ভারতের অন্যন্য সংবাদমাধ্যমগুলোও ভারতে পালিয়ে আসা শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে এবং ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশকে রাজনৈতিক অস্থিরতায় ফেলতে চায় এমন মনোভাব প্রকাশ করে। এই ধরনের কার্যক্রম শুধু সাংবাদিকতার নৈতিকতার পরিপন্থী নয়, বরং দুই দেশের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেও আঘাত হানে।
এদিকে, ময়ূখ রঞ্জনের মতো কর্মীদের এমন আর্থিক সংকটে রেখে যেভাবে চ্যানেলটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজ করছে, তা কর্মসংস্থানের দিক থেকেও চরম অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।
রিপাবলিক বাংলা মূলত ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপির প্রোপাগান্ডা চ্যানেল। গেরুয়াদের প্রচার সেলের অর্থায়নে চ্যানেলটি পরিচালিত হয়। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে ভরাডুবির পর অর্থায়ন করা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। সেই থেকে মানবেতর জীবন যাপন করছে সাংবাদিকরা, জানালেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রিপাবলিক বাংলার এক কর্মকর্তা।