ঢাকাবার্তা ডেস্ক ।।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) কারাগার থেকে সেনা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিলেও সেনাবাহিনী কোনো সমঝোতায় যেতে চায় না বলে গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ইমরান খান বর্তমানে আদিয়ালা কারাগারে বন্দী। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে নিষিদ্ধ হলেও তার আইনজীবী দলের মাধ্যমে প্রশ্ন জমা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে গার্ডিয়ান।
উত্তরে ইমরান বলেন, ২০২৩ সালের আগস্টে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার কোনো ব্যক্তিগত যোগাযোগ হয়নি। তবে তিনি সামরিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা বা সমঝোতার সম্ভাবনা পুরোপুরি অস্বীকার করেননি। ইমরান বলেন, “সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো সমঝোতা হলে তা হবে নীতিগত ভিত্তিতে এবং জনগণের স্বার্থে, ব্যক্তিগত লাভ বা পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সাথে আপোস নয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আমার নীতির সঙ্গে আপোস করতে চেয়ে বাকী জীবন কারাগারে কাটাতেও রাজি।”
একটি সূত্র গার্ডিয়ান-কে জানিয়েছে, “ইমরানকে তার বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলো মোকাবিলা করতে হবে এবং তিনি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কোনো সমঝোতার আশা করতে পারেন না। তিনি চান সবাই আইন মেনে চলুক, কিন্তু নিজের জন্য এই আইন প্রযোজ্য হোক তা চান না।”

ইসলামাবাদের আদালতপ্রাঙ্গণে ইমরান খান। ফাইল ফটো
সাম্প্রতিক সাংবিধানিক সংশোধনী এবং কথিতভাবে কারচুপির অভিযোগে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রতিবাদে ইমরান তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI)-এর সমর্থকদের ২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদে চূড়ান্ত বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। ইমরানের গ্রেপ্তার পরবর্তী দমন-পীড়নে পিটিআইয়ের অধিকাংশ নেতাই বর্তমানে কারাগারে বা নির্বাসনে রয়েছেন।
সরকার এখনো নিশ্চিত করেনি যে তারা ইমরানকে বেসামরিক আদালতের পরিবর্তে সামরিক আদালতে বিচারের পরিকল্পনা করছে কি না। তার বিরুদ্ধে ঘুষ থেকে সন্ত্রাসবাদ পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে, যা তিনি অস্বীকার করেছেন।
ইমরান বলেন, “কীভাবে একজন সাধারণ নাগরিক, বিশেষত একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সামরিক আদালতে বিচার করা সম্ভব? এটি হাস্যকর। সামরিক আদালতে বেসামরিকদের বিচার করা মানে হচ্ছে অন্য কোনো আদালত আমাকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারবে না। এই ধারণাই ভীতিকর।”
তবে তিনি আত্মবিশ্বাসী যে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন এবং জনগণের ইচ্ছা থাকলে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।