স্টাফ রিপোর্টার ।।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে (Bangladesh Awami League) নিষিদ্ধ চেয়ে সোমবার হাইকোর্টে একটি রিট হয়েছে। সদ্য ক্ষমতাচ্যুত এ দলটি যাতে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে সে ব্যাপারে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
জুলাই ও আগস্টে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ঘোষণা চেয়ে আদালতে এ রিট করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ (Hasnat Abdullah) ও সারজিস আলম (Sarjis Alam)। হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তারা রিট আবেদন করেন। মঙ্গলবার রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
প্রজ্ঞাপনে ছাত্রলীগকে গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে হত্যা, নির্যাতন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নের জন্য দায়ী করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী নানা কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল ছাত্রলীগ। এসবের প্রমাণ দেশের সব গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীর অপরাধ আদালতেও প্রমাণ হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাধারণ ছাত্রছাত্রী ও জনগণের ওপর আক্রমণ করে শত শত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী; অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক, উস্কানিমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। সরকারের কাছে এসব কর্মকাণ্ডের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ২০ ধারায় বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সত্তার কার্যালয় বন্ধ করবে সরকার। ব্যাংক হিসাব বা অন্য সম্পদ জব্দ হবে। নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যরা দেশ ত্যাগ করতে পারবে না। সংগঠনের পক্ষে বা সমর্থনে বিবৃতি, বিজ্ঞপ্তি, প্রকাশনা, প্রচারণা, সংবাদ সম্মেলন বা জনসমক্ষে বক্তৃতা নিষিদ্ধ হবে।
১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার একই আইনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (Bangladesh Jamaat-e-Islami) এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে (Bangladesh Islami Chhatrashibir) নিষিদ্ধ করেছিল। তাদের আবেদনে অন্তর্বর্তী সরকার গত ২৮ আগস্ট নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।