রবিবার, ডিসেম্বর ৮, ২০২৪

কাঁচাবাজারেও এবার পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ

২০০২ সালে সরকার পলিথিনের উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করেছিল। সে সময় পরিবেশমন্ত্রী শাজাহান সিরাজ পলিথিনমুক্ত বাজার গড়ার জন্য কাজ করেছিলেন। তবে রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে পলিথিনের ব্যবহার আবার বাড়তে থাকে।

by ঢাকাবার্তা
কারওয়ানবাজারে কেনাকাটার একটি দৃশ্য

স্টাফ রিপোর্টার ।। 

আজ শুক্রবার থেকে কাঁচাবাজারেও পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ হচ্ছে, যা সুপারশপের পর দ্বিতীয় ধাপে নেওয়া হচ্ছে। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে সব স্তরের জনগণ, তবে তারা মনে করছেন, পলিথিনের উৎপাদন ও বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আগে জরুরি। পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ব্যবহার নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোও প্রয়োজন। পলিথিন ও পলিপ্রোপাইলিন উৎপাদনকারী কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে।

এখন থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং সদস্যরা আছেন বিভিন্ন বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। কমিটি ১ নভেম্বর থেকে সারা দেশে পলিথিন নিষিদ্ধের অভিযান পরিচালনা করবে এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করবে। পরিবেশ অধিদপ্তরও একটি আলাদা কমিটি গঠন করবে, যা প্রতিদিনের অভিযানের তথ্য মন্ত্রণালয়ের কমিটিকে জানাবে। আজ সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটসহ বিভিন্ন সুপারশপ ও বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

২০০২ সালে সরকার পলিথিনের উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করেছিল। সে সময় পরিবেশমন্ত্রী শাহজাহান সিরাজ (Shajahan Siraj) পলিথিনমুক্ত বাজার গড়ার জন্য কাজ করেছিলেন। তবে রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে পলিথিনের ব্যবহার আবার বাড়তে থাকে। সম্প্রতি, অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান (Syeda Rizwana Hasan) পলিথিন নিষিদ্ধের আইনের কঠোর প্রয়োগের ঘোষণা দেন। সুপারশপে ১ অক্টোবর থেকে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এবং আজ থেকে কাঁচাবাজারেও এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ, বিকল্প কী ব্যবহার করবেন

সচেতনতা এবং ক্রমাগত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পলিথিন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে দৃঢ় সংকল্প প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, “পলিথিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে আমাদের কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।” তিনি বলেন, “২০০২ সালে নিষিদ্ধ হওয়া পলিথিনের বিষয়ে ২০২৪ সালে এসে ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব পাটজাত দ্রব্য ব্যবহারকে উৎসাহিত করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, “পলিথিন আসার আগে আমাদের বিকল্প ছিল, যা আমরা ভুলে গেছি।” তাই, কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ হওয়া নতুন সমস্যার সৃষ্টি করবে না।

You may also like

প্রকাশক : মানজুর এলাহী

সম্পাদক : হামীম কেফায়েত

ব‌ইচিত্র পাবলিশার্স
প্যারিদাস রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০
যোগাযোগ : +8801712813999
ইমেইল : news@dhakabarta.net