ডেস্ক রিপোর্ট ।।
মিয়ানমারের মান্দালয়ে আজ শুক্রবার পরপর দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে, যার প্রভাব রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুভূত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, প্রথম ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৭, আর বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে ৭.৩।
ভূমিকম্পটি ১০ কিলোমিটার গভীরে উৎপন্ন হয় এবং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়। পরে ২০ কিলোমিটার দূরে আরও একটি ভূমিকম্প হয়, যার মাত্রা ছিল ৬.৪। ভূমিকম্প–বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এ ধরনের ভূমিকম্পের পর আফটার শক হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পটি ‘সাগাইং ফল্ট’ এলাকায় হয়েছে, যা মিয়ানমারের ভূমিকম্পপ্রবণ একটি অঞ্চল। এই অঞ্চল ‘ইন্দো-বার্মা সাবডাকশন জোনের’ মধ্যে পড়ে, যা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত।

ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় নাগরিকদের খোঁজখবর নিচ্ছেন মিয়ানমারের সামরিক প্রধান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার বলেন, গত ২০ বছরে মিয়ানমারে এত বড় ভূমিকম্পের নজির নেই। তিনি জানান, দিন দিন ভূমিকম্পের প্রবণতা বাড়ছে, যা বাংলাদেশসহ আশপাশের অঞ্চলের জন্য উদ্বেগজনক।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে ভূমিকম্পের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৭ সালে যেখানে ২৮টি ভূমিকম্প হয়েছিল, সেখানে ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪১-এ এবং গত বছর ছিল ৫৪। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ প্রবণতা ভবিষ্যতে আরও বড় ভূমিকম্পের ইঙ্গিত দিতে পারে।