স্টাফ রিপোর্টার ।।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালিয়ে গণতান্ত্রিক সন্ধিক্ষণকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থানকারীরা। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, সেনাবাহিনী ও জনগণের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন এবং ভারতীয় আগ্রাসন ঘটানোর চেষ্টা করা হতে পারে।
শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক ও গণঅবস্থানের সংগঠক আবদুল ওয়াহেদ বলেন, “দেশবাসী, অন্তর্বর্তী সরকার ও সেনাবাহিনীকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই— সময় মতো সবাই সচেতন না হলে দেশ প্রতিবিপ্লবী চোরা-বালিতে আটকে পড়বে এবং জনগণ ফের গণহত্যা ও গোলামির শিকার হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের রাজনৈতিক প্রধান আনিছুর রহমান ও সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ।
সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে
আবদুল ওয়াহেদ বলেন, “জুলাই বিপ্লবে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সেনাবাহিনী ফ্যাসিস্ট সরকারের আদেশে জনগণের ওপর গুলি চালাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বিপ্লবের পথে দাঁড়িয়েছিল। বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন স্বাধীনতা লাভ করে।”
তবে তিনি অভিযোগ করেন, কিছু বিতর্কিত বুদ্ধিজীবী ও সেক্যুলার-বামপন্থী অ্যাক্টিভিস্টরা সেনাবাহিনীর মহান ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। বিশেষ করে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে সেনাবাহিনীকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র চলছে।
জাতীয় নিরাপত্তা ও পুনর্গঠনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিশ্চিতের দাবি
সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে পাঁচ বছরের জাতীয় সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে পুরনো সংবিধান বাতিল করে রাষ্ট্রপতি শাসিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, নতুন সংবিধান প্রণয়ন, আর্থিক খাতের নিরাপত্তা, উপজেলা পর্যায়ে সেনা মোতায়েন এবং প্রশাসন থেকে দুর্নীতিবাজ ও দেশবিরোধীদের অপসারণের আহ্বান জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পুনর্গঠনে কাজ করছে। এ অবস্থায় সেনাবাহিনীকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।