স্টাফ রিপোর্টার ।।
ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে ধ-র্ষ-ণ, খু-ন, চাঁদাবাজি ও সহিংসতার অভিযোগ বেশ পুরনো। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তাদের নৃশংসতা আজো নাগরিকদের বুকে যেনো কাঁপন ধরিয়ে দেয়। এই সংগঠনের কর্মীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সহিংস কার্যক্রম পরিচালনা করায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে দিনাতিপাত করেছে দশকের পর দশক।
শুধু সাম্প্রতিক বছর নয়, ছাত্রলীগের নেতৃত্বের ওপর ভর করে বিভিন্ন অরাজনৈতিক অপতৎপরতা পরিচালনাও করা হয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সদস্যদের সঙ্গে জড়িত অন্তত ১২৯ জনের হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময়ও ছাত্রলীগের কর্মীরা সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর সহিংসতা চালায়, যা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
এই সমস্ত ঘটনা ক্রমশই সংগঠনের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করেছে। তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগগুলোও বহুল প্রচারিত। এসব কারণে, দেশব্যাপী ছাত্রলীগের কার্যক্রমের ওপর প্রশ্ন উঠতে থাকে এবং শেষপর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সরকারি প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় যে, ছাত্রলীগের সহিংস ও অরাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে বাধাগ্রস্ত করছে, এবং এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার মাধ্যমে দেশ নতুন করে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথে এগোতে পারবে।