স্টাফ রিপোর্টার ।।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রাষ্ট্র, রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলের গুণগত পরিবর্তনের জন্য সংস্কার এবং নির্বাচন উভয়ই অপরিহার্য। তিনি উল্লেখ করেন, “কিছু মহল থেকে সংস্কার না নির্বাচন—এমন প্রশ্ন করা হয়, যা বিএনপি ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলো অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তর্ক বলে মনে করে।”
ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বক্তব্য
বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
সংস্কার ও নির্বাচনের গুরুত্ব
তারেক রহমান বলেন, “বিদ্যমান ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী করতে সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে টেকসই করতে নির্বাচনের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করে।”
জনগণের অধিকার নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তা
তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্র, মানবাধিকার কিংবা সংস্কার টেকসই হতে হলে রাষ্ট্রে জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান সরকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে, তবে এগুলোর আড়ালে জনগণের দুর্ভোগ বাড়লে জনগণ মুখ খুলতে বাধ্য হবে।”
সরকারের ব্যর্থতা ও ষড়যন্ত্রের সুযোগ
তারেক রহমান হুঁশিয়ারি দেন, “সরকার তাদের সংস্কার পরিকল্পনায় ব্যর্থ হলে ষড়যন্ত্রকারীরা ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট বিনষ্ট করার সুযোগ নেবে। এরই মধ্যে তারা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চালিয়েছে।”
বক্তব্যে অন্যান্য নেতৃবৃন্দ
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আমানুল্লাহ আমান, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলসহ দলের শীর্ষ নেতারা।