স্টাফ রিপোর্টার ।।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। তিনি গণতন্ত্র পুনঃস্থাপনের জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং রাজনৈতিক সংস্কারের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তারেক রহমান বলেন, নির্বাচনের প্রক্রিয়া কোনোভাবেই সংস্কারের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এবং তা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অন্যতম শর্ত।
মূল পয়েন্টসমূহ:
- বর্তমান পরিস্থিতির আলোচনা: তারেক রহমান বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি শুধু একটি নির্বাচন নয়, বরং জনগণের ক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও তাদের অধিকার ফেরত পাওয়ার সংগ্রাম। তিনি দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অক্ষমতা এবং স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
- সংস্কার ও নির্বাচন: তারেক রহমান বলেন, বিএনপি সংস্কার কার্যক্রমকে একটি চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে দেখে, তবে তিনি স্পষ্ট করেন যে এটি কার্যকর করার জন্য জনগণের দৈনন্দিন দুর্দশা মোকাবিলা করা জরুরি। তিনি আরও বলেন, সংস্কার কার্যক্রম এবং অবাধ নির্বাচন একে অপরের পরিপূরক এবং জনগণের রাজনীতিতে ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতেই এটি প্রয়োজন।
- স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে অবস্থান: তিনি বলেন, পলাতক স্বৈরাচারী নেতাদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন ঠেকানোর জন্য আইনি এবং রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। একই সঙ্গে, জনগণকে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতায়িত করা হলে, তারা স্বৈরাচারী শক্তি এবং তাদের দোসরদের রাজনীতি থেকে বের করে দিতে সক্ষম হবে।
- গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: তারেক রহমান বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিএনপি ৩১ দফার প্রস্তাব নিয়ে এসেছে, যার মধ্যে মিডিয়া কমিশন গঠন এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতা সুরক্ষিত রাখার কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অপরিহার্য।
বক্তৃতার প্রধান বক্তব্য: তারেক রহমান সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সৌন্দর্য হলো ভিন্নমত থাকাটা এবং এটি শত্রুতা বা রাজনৈতিক লড়াইয়ে পরিণত না হওয়া। তিনি আশাবাদী, যদি আমরা এই দুইয়ের সমন্বয় ঘটাতে পারি, তবে অপশক্তি বাংলাদেশে আর মাথা তুলতে পারবে না।
সম্মেলনে অন্যান্য বক্তারা: সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।