স্টাফ রিপোর্টার ।।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ উপনেতা ও মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী আর নেই। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালের গ্রুপ মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
ডা. আরিফ মাহমুদ বলেন, আজ সকাল ১১টার দিকে ’কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয় মতিয়া চৌধুরীকে।
অ্যাটাক খুব ভয়াবহ ছিল। চিকিৎসকরা সাধ্যমতো চেষ্টা করলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ এ সহচর।
১৯৪২ সালের ৩০ জুন মতিয়া পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ব্যক্তিজীবনে ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এর সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে “অগ্নিকন্যা” নামে পরিচিত মতিয়া পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, তদবির এবং আহতদের শুশ্রুষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন।
১৯৭১ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়কালে তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হন।
১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১২ জানুয়ারি ২০২৩ সালে তিনি জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন।
পরে তিনি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হলে পুনরায় তিনি ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারিয়ে গা ঢাকা দেন। তার বিরুদ্ধেও ছাত্র-জনতা হত্যার দায়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়।
ফ্যাসিবাদ বিরোধী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা মামলার প্রকাশ্য হুকুম দিয়ে গণমাধ্যমে ভিলেন বনে গিয়েছিলেন মতিয়া চৌধুরী।