স্টাফ রিপোর্টার ।।
চব্বিশের জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে সংঘটিত ‘আওয়ামী গণহত্যার’ বিচার, এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তি এবং ‘ফ্যাসিস্ট আমলের’ সব রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। দাবি আদায়ে তিন সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়ে সংগঠনটি হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এর মধ্যে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে তারা ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নামবে।
আজ বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এসব কথা বলেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, গত ১৬ বছর ধরে শিবির ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের লক্ষ্যবস্তু ছিল। হাজার হাজার মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। এমনকি নামাজরত অবস্থাতেও গুম-হত্যা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে তাঁরা জানান, আওয়ামী শাসনামলে সংগঠনটির ১০১ জন নেতা-কর্মী শহীদ, সহস্রাধিক পঙ্গু ও অসংখ্য গুম হয়েছেন। বর্তমানে ৭ জন এখনও গুম অবস্থায় আছেন এবং ১১ হাজারের বেশি মামলা এখনো চলমান।
শিবির নেতারা আরও বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ফ্যাসিবাদ কায়েম করে এবং নিরস্ত্র জনগণের ওপর বর্বর গণহত্যা চালায়। তাঁরা অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার এ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে উদাসীনতা দেখাচ্ছে, অপরাধীদের অর্থের বিনিময়ে মুক্তি ও পুনর্বাসনেরও চেষ্টা চলছে।
এ টি এম আজহারুল ইসলামের প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন। তাঁকে ২০১২ সালে ‘মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ মামলায় গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। শিবির দাবি করে, আপিলে তিনি ন্যায়বিচার পাননি এবং বারবার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিবৃতিতে শিবির আরও জানায়, জুলাই অভ্যুত্থানের আট মাস পার হলেও অগ্রভাগে থাকা অংশীজনদের মামলাগুলোর নিষ্পত্তি হয়নি, যা জাতির জন্য লজ্জাজনক। তারা পল্টন, জুলাই, পিলখানা, শাপলা গণহত্যাসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার জোর দাবি জানায়।