ডেস্ক রিপোর্ট ।।
যে ম্যাচটি কোয়ার্টার-ফাইনাল হতে পারত, সেটিই এখন কেবল আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ-বি পর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ইতোমধ্যেই ইংল্যান্ড সেমি-ফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে, যা নিয়ে ইংলিশ ক্রিকেটে শুরু হবে আত্মবিশ্লেষণের ঝড়। অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন জস বাটলার। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা কার্যত সেমি-ফাইনালে পৌঁছে গেছে, যদি না অপ্রত্যাশিতভাবে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়। এটি হবে পরপর তিনটি আইসিসি টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে তাদের উপস্থিতি।
ইংল্যান্ডের জন্য এই ম্যাচ মর্যাদা রক্ষার লড়াই, তবে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য এটি তাদের ব্যাটিং লাইনআপের ধারাবাহিকতা পরীক্ষা করার সুযোগ। আগের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে ২২৯ রানে হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, যা তাদের সাম্প্রতিক ফর্মের প্রতিচ্ছবি।
ফর্ম গাইড:
দক্ষিণ আফ্রিকা: জয়, হার, হার, হার, হার ইংল্যান্ড: হার, হার, হার, হার, হার
নজরে থাকবেন:
জো রুট ও উইয়ান মালডার
জো রুট দীর্ঘদিন পর ওয়ানডেতে শতক হাঁকিয়েছেন এবং এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার উইয়ান মালডার ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করছেন এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছেন।
সম্ভাব্য একাদশ:
ইংল্যান্ড: ফিল সল্ট, বেন ডাকেট, জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), জো রুট, হ্যারি ব্রুক, জস বাটলার (অধিনায়ক), লিয়াম লিভিংস্টোন, জেমি ওভারটন, জোফরা আর্চার, আদিল রশিদ, সাকিব মাহমুদ।
দক্ষিণ আফ্রিকা: টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), রায়ান রিকেলটন, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন, এইডেন মার্করাম, হেইনরিখ ক্লাসেন (উইকেটকিপার), ডেভিড মিলার, উইয়ান মালডার, মার্কো জানসেন, কেশভ মহারাজ, কাগিসো রাবাডা, লুঙ্গি এনগিডি।
পিচ ও আবহাওয়া:
করাচির আবহাওয়া পরিষ্কার থাকবে, যা ব্যাটসম্যানদের জন্য স্বস্তির খবর। এই মাঠে এবারের টুর্নামেন্টে প্রথমে ব্যাট করা দুই দলই ৩০০-এর বেশি রান করে জয় পেয়েছে। ফলে টস জয়ী দল ব্যাটিং নিতেই পারে।
পরিসংখ্যান:
- ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সাক্ষাৎ ঘটেছিল ২০১৩ সালের সেমি-ফাইনালে, যেখানে ইংল্যান্ড সহজ জয় পেয়েছিল।
- লিয়াম লিভিংস্টোন তার ১০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যাচ্ছেন।
- ফিল সল্ট আর মাত্র ২০ রান করলেই ওয়ানডেতে ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করবেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার হেড কোচ রব ওয়াল্টার বলেছেন, “ইংল্যান্ডের দল ভালো মানের খেলোয়াড়ে ভরা। ওরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারে। তাই ম্যাচটিকে আমরা হালকাভাবে নিচ্ছি না।”
এই ম্যাচে দুই দলই নিজেদের প্রমাণ করতে চাইবে, তবে ইংল্যান্ডের জন্য এটি সম্মান রক্ষার লড়াই, আর দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য সেমি-ফাইনালের প্রস্তুতি।