স্টাফ রিপোর্টার ।।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারের অবস্থান
শফিকুল আলম জানান, সরকার এই উদ্যোগকে ‘প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে দেখছে এবং এর সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, ‘যাঁরা এই উদ্যোগকে সমর্থন করছেন, তাঁরা একটি বেসরকারি উদ্যোগকেই সমর্থন দিচ্ছেন।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিকল্পনা
আগামী ৩১ ডিসেম্বর বিকেল তিনটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ দুপুরে বাংলামোটরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এই পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
আহ্বায়কের বক্তব্য
সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘মুজিববাদী সংবিধানকে কবরস্থ ঘোষণা করা হবে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই ঘোষণাপত্রে আওয়ামী লীগকে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করা হবে।
ঘোষণাপত্রের বিলম্ব নিয়ে সমালোচনা
হাসনাত আবদুল্লাহ মনে করেন, ঘোষণাপত্রটি ৫ আগস্টেই ঘোষণা করা উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘এর বিলম্বের কারণে ফ্যাসিবাদের পক্ষের শক্তিগুলো ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।’

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র
খসড়া প্রস্তুতি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সারজিস আলম জানিয়েছেন, ঘোষণাপত্রের একটি খসড়া ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের মতামত নিয়ে তা পরিমার্জন করা হচ্ছে।
ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা
সারজিস আলম বলেন, ‘এই বিপ্লব যেমন ফ্যাসিস্টবিরোধী শক্তিগুলোকে একত্রিত করতে পেরেছিল, তেমনই এই ঘোষণাপত্র সবার আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে পারবে।’
সংগঠনের নেতারা আশা করছেন, ঘোষণাপত্রটি গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।