মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ।।
মানিকগঞ্জ জেলার গণপূর্ত বিভাগে সিন্ডিকেট তৈরি করে ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে।
তৃতীয় শ্রেণির এ কর্মচারী তার অফিসের নথি চুরি, টেন্ডারবাজি, জালিয়াতি ও টেন্ডার প্রক্রিয়া পরিচালনায় সিন্ডিকেট গড়ে তুলে নিজের পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত। অফিসের সাধারণ শাখা থেকে প্রাক্কলনের কাগজপত্র ফাঁস করে অর্থ আদায় করাসহ সরকারি জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করেছেন তিনি। ফলে গত দুই দশকে আতিকুর রহমান বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন।
দুই দশকে আতিকুরের অবৈধ সম্পদ
২০০৬ সালে মানিকগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগে যোগ দেওয়ার পর থেকে একই স্থানে কর্মরত আতিকুর রহমান দিনে দিনে হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য। অভিযোগ রয়েছে, টাঙ্গাইল শহরে ৫০ লক্ষ টাকার প্ল্যাট ক্রয়, ২৫ কাঠা জমি কেনা, বিভিন্ন ব্যাংকে কোটি টাকার এফডিআর এবং শেয়ারবাজারে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছেন তিনি। স্ত্রী ও আত্মীয়দের নামে বিপুল সম্পদ লুকানো রয়েছে বলেও জানা গেছে।
পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার
মানিকগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, আতিকুর রহমানকে ম্যানেজ করা ছাড়া কোনো বিল পর্যন্ত পাস হয় না। ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে তিনি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির আশ্রয় নেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশে তার ক্ষমতার দাপট আরও বাড়ে।
অভিযোগ ও সুরক্ষার ছায়া
সম্প্রতি ক্ষুব্ধ কয়েকজন ঠিকাদার তার বিরুদ্ধে নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ করলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাজু মল্লিকের ছত্রছায়ায় আতিকুর রহমান তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
পরিশেষে
মানিকগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের এই চিত্র সাধারণ জনগণের জন্য প্রশ্নবিদ্ধ। কর্তৃপক্ষের অবিলম্বে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।