ডেস্ক রিপোর্ট ।।
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান মঙ্গলবার পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর (জিএইচকিউ) পরিদর্শন করেছেন। তিনি পাকিস্তান সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
অনেক বছর পর কোনো উচ্চপর্যায়ের বাংলাদেশি সামরিক কর্মকর্তার ইসলামাবাদ সফর এই প্রথম। লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসান, যিনি বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর দ্বিতীয় শীর্ষ কর্মকর্তা, এই সফরে উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছিলেন।
এই সফর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পরিবর্তন নির্দেশ করে, বিশেষ করে গত বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর।
শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থবির ছিল। তিনি বারবার পাকিস্তানের শান্তি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তবে তার ক্ষমতাচ্যুতির পর দুই দেশের সম্পর্কের দৃশ্যমান উন্নতি ঘটেছে।
দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
সফরের সময় লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসান পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির এবং চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জার সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।
আইএসপিআর জানিয়েছে, সেনাপ্রধান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসানের মধ্যে বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয় এবং দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলাপ হয়।
উভয় জেনারেল “মজবুত প্রতিরক্ষা সম্পর্কের” গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং এটি বহিরাগত প্রভাব থেকে সুরক্ষিত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। সেনাপ্রধান আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে “যৌথ প্রচেষ্টা”র গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।
জেএসএইচকিউতে কৌশলগত আলোচনা
এছাড়া, লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসান ও তার প্রতিনিধি দল জয়েন্ট স্টাফ হেডকোয়ার্টার্সে (জেএসএইচকিউ) সিজেসিসি জেনারেল মির্জার সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা “পারস্পরিক কৌশলগত স্বার্থ” এবং দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই পক্ষই সামরিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা এবং আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে যৌথ সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সিজেসিসি উল্লেখ করেন যে উভয় দেশ একটি “নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের” সাধারণ লক্ষ্য ভাগ করে নেয়, যা মজবুত প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসান পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন এবং সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে তাদের আত্মত্যাগের জন্য গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন।