ডেস্ক রিপোর্ট ।।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বর্ণপদক প্রদান করেছেন। ৩ জানুয়ারি মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত ১০২তম ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা প্রদান করা হয় বলে ইউনূস সেন্টার মারফত জানা গেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চারজন নোবেল বিজয়ী ও পাঁচজন বিশিষ্ট ভারতীয় বিজ্ঞানীর সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসকেও স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, শীর্ষ বিজ্ঞানী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ দেশ-বিদেশের ২০ হাজারের বেশি প্রতিনিধি।
প্রধানমন্ত্রী মোদি তার ভাষণে বলেন, “আমাদের মাঝে এমন নোবেল বিজয়ী আছেন, যারা বিজ্ঞানের মাধ্যমে মানবজাতির জন্য আশার আলো জ্বালিয়েছেন। আর এমন একজনও আছেন, যিনি সামাজিক বিজ্ঞানের মাধ্যমে দরিদ্রদের জন্য সম্মান, সুযোগ ও মর্যাদার জীবন নিশ্চিত করেছেন।’’ তিনি এই বক্তব্যে সরাসরি অধ্যাপক ইউনূসের কথা উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদি নোবেল বিজয়ীদের এক ঘন্টার জন্য আমন্ত্রণ জানান। সেখানে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে ছিলেন ২০০১ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী পল নার্স, ২০০২ সালের রসায়নে নোবেলজয়ী কার্ট উথরিচ, ২০০৯ সালের রসায়ন নোবেলজয়ী আডা ই. ইয়োনাথ এবং ২০১৩ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেলজয়ী র্যান্ডি শেকম্যান।

নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে স্বর্ণপদক গ্রহণ করছেন মুহাম্মদ ইউনূস। ২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি তোলা ছবি।
অধ্যাপক ইউনূস সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে মূল অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন। তাকে পরিচয় করিয়ে দেন বিশিষ্ট ভারতীয় পরমাণু বিজ্ঞানী প্রফেসর অনিল কাকোডকার। তিনি বলেন, “আগামী ২০ বছরে প্রযুক্তির বিস্ফোরণ বিশ্বকে আমূল বদলে দেবে। যদি আমরা সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে প্রযুক্তি তৈরি করতে পারি, তবে সমাজের সমস্যাগুলো সমাধানে মানুষের সৃজনশীলতা ও শক্তি কাজে লাগানো সম্ভব হবে।”
ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেসের সভাপতি এবং লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস বি নিমসে এক বছর আগেই ঢাকায় এসে অধ্যাপক ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানান।
১৯১৪ সাল থেকে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হওয়া এই সম্মেলনটি ভারতের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান সম্মেলন। এটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, যেখানে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে ২০,০০০ এর বেশি বিজ্ঞানী ও গবেষক অংশগ্রহণ করেন।
অধ্যাপক ইউনূস ২ জানুয়ারি মুম্বাই পৌঁছান এবং ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে ফিরে আসার কথা রয়েছে। সফরে তার সঙ্গে ছিলেন ইউনূস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোর্শেদ।