খেলা ডেস্ক।।
পরিসংখ্যান বলবে ম্যাচে খেলা শেষ হয়েছে চারদিনে। তবে বৃষ্টি আর আলোকস্বল্পতা না থাকলে খেলা তো শেষ হয়ে যেত দুই দিনেই। যেকোনো উপায়ে জিততে মরিয়া হয়ে স্পিনারদের জন্য অতিমাত্রায় সহায়তা রেখে মিরপুরে যে উইকেট বানানো হয়েছিলো, সেখানে আবার জিততেও পারেনি বাংলাদেশ। তবে যারা জিতেছে, সেই নিউজিল্যান্ড জিতেও পিচ নিয়ে হতাশা জানাতে ভুলছে না। কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি বললেন, সম্ভবত এটা তার ক্যারিয়ারে খেলা সবচেয়ে বাজে উইকেট। মিরপুরে চারদিন মিলে খেলা হয়েছে ১৭৮.১ ওভার, অর্থাৎ দুই দিনেরও কম। লো স্কোরিং ম্যাচে বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ সমতায় শেষ করেছে সফরকারীরা।
প্রতিকূল আবহাওয়ার ভিড়ে যতটুকু খেলা হয়েছে তা ছিল ঘটনাবহুল। প্রতি মিনিটেই যেন কিছু না কিছু হয়েছে। বল টার্ন করা উপমহাদেশের উইকেটে অস্বাভাবিক কিছু না। কিন্তু মিরপুরে টার্নের চেয়ে বিপদজনক ছিলো বাউন্সের অস্বাভাবিক হের ফের। কখনো বল গড়িয়ে যাচ্ছে, ,কখনো আচমকা লাফিয়ে উঠছে। ব্যাটাররা দূরে থাক এমনকি বোলাররাও বুঝতে পারছিলেন না তাদের কোন বল কীভাবে যাবে। সব মিলিয়ে ভালো ক্রিকেটের দেখা পাওয়া যায়নি মিরপুরে।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস পর্যন্ত ৮৩১ বলে পড়েছে ৩০ উইকেট। গত ১১১ বছরে টেস্টে এত দ্রুত উইকেট পতন দেখা যায়নি।
ম্যাচ শেষে দলের হয়ে কথা বলতে এসে উইকেট নিয়ে অকপটে নিজের মতামত দিলেন সাউদি, ‘এই উইকেট বর্ণনা করার অনেক পথ আছে। আমার মনে হয় ১৭০ ওভারের মধ্যে (১৭৮.১) ওভারের মধ্যে ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়া বোঝায় উইকেট কেমন। এটা ভালো ছিল না। এমনকি এখানে ব্যাটে-বলের লড়াইও হয়নি।’
কিউই ডানহাতি পেসারের মতে এই উইকেট একদম একপেশে এবং বাজে, ‘সম্ভবত আমার গোটা ক্যারিয়ারে খেলা সবচেয়ে বাজে উইকেট এটা। ব্যাটে-বলে ভারসাম্যের বদলে এটা পুরোপুরি বোলারদের পক্ষে ছিলো। ১৭০ ওভারের মধ্যে খেলা শেষ হয়ে যাওয়া উইকেটের প্রতিবিম্ব। আমাদের ছেলেরা হোঁচট খেয়ে খাদে পড়ে আবার ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতেছে, এটা সবচেয়ে আনন্দের।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজ সমতায় নিউজিল্যান্ড