খেলা ডেস্ক।।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া ৪৪.৪ ওভারে ৩০৭/২, লক্ষ্য ৩০৭ (মিচেল মার্শ ১৭৭*, স্টিভেন স্মিথ ৬৩*; ট্রাভিস হেড ১০, ডেভিড ওয়ার্নার ৫৩)
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩০৬/৮ (শেখ মেহেদী ২*, তাসকিন ০*; তানজিদ ৩৬, লিটন ৩৬, শান্ত ৪৫, মাহমুদউল্লাহ ৩২, মুশফিক ২১, তাওহীদ ৭৪, মিরাজ ২৯, নাসুম ৭)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী।
বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে ৩০৭ রানের টার্গেট দিয়েও লড়াই জমাতে পারলো না বাংলাদেশ। বোলারদের নখদন্তহীন পারফরম্যান্সে হার দিয়ে শেষ হলো তাদের বিশ্বকাপ। মিচেল মার্শ দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখালেন ব্যাট হাতে। ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথের কাছ থেকে পেলেন উপযুক্ত সঙ্গ। তাতে করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলার আগে উজ্জীবিত হওয়ার মতো জয় পেলো অস্ট্রেলিয়া। ৮ উইকেটে তারা হারিয়েছে বাংলাদেশকে। ৪৪.৪ ওভারে ২ উইকেটে ৩০৭ রান করে অজিরা।
অস্ট্রেলিয়া তাদের বিশ্বকাপ ম্যাচের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জিতলো ৪৫তম ওভারেই। আগামী বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে খেলবে তারা।
তৃতীয় ওভারে ১২ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে ভালো শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দাঁড়িয়ে যান মার্শ ও ওয়ার্নার। ১২০ রানের শক্ত জুটি ভেঙে লড়াইয়ে ফেরার ইঙ্গিত দেন মোস্তাফিজুর রহমান। ওয়ার্নার ৫৩ রান করে থামেন। মার্শ ও স্মিথ জুটি বাঁধলে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বিশ্বকাপের নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিকে দেড়শর ঘরে নেন মার্শ। হাফ সেঞ্চুরি করেন স্মিথ। দুজনের ১৭৫ রানের শক্ত জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় অস্ট্রেলিয়া। ১৩২ বলে ১৭ চার ও ৯ ছয়ে ১৭৭ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা মার্শ। স্মিথ ৬৪ বল খেলে ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এই হারের পরও বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জনের স্থান আট নম্বরেই আছে। তবে এখনও নিশ্চিত নয়। ভারতের কাছে নেদারল্যান্ডস পরের ম্যাচ হারলেই ২০২৫ সালে পাকিস্তানে যাওয়ার টিকিট কাটবে তারা।
মার্শের দেড়শ, স্মিথের ফিফটিতে ছুটছে অস্ট্রেলিয়া
ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে ১২০ রানের জুটি ভাঙলেও থামানো যায়নি মার্শের আগ্রাসন। চড়াও হয়ে খেলে তুলে নিয়েছেন তৃতীয় সেঞ্চুরি। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেয়েছেন ৮৭ বলে। মার্শের সেঞ্চুরির পর দলের স্কোর দুইশও ছাড়ায়। ওখানেই থামেননি, ক্যারিয়ারে প্রথমবার দেড়শ করেছেন তিনি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন স্টিভেন স্মিথ। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যৌথ সর্বোচ্চ ১১তম পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস খেলে অপরাজিত তিনি। ৫৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন স্মিথ। বাংলাদেশকে হতাশ করছে এই জুটি।
১২০ রানের জুটি ভাঙলেন মোস্তাফিজ
১২ রানে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়ার প্রথম উইকেট। তার পর বাংলাদেশের কাছ থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেয় মার্শ-ওয়ার্নার জুটি। সুবিধাজনক জায়গায় নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তারা। ২২.১ ওভারে ১২০ রানের জুটি ভেঙে স্বস্তি ফিরিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ওয়ার্নারকে শান্তর ক্যাচ বানিয়েছেন কাটার মাস্টার। তাতে ৬১ বলে ৫৩ রানে থেমেছেন অজি ওপেনার। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার।
মার্শের পর ওয়ার্নারের ফিফটি
মার্শ শুরু থেকে চড়াও হয়ে খেললেও সাবধানি ছিলেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ধীরে সুস্থে খেলেই মার্শকে সঙ্গ দিয়েছেন। তাতে একশ ছাড়িয়েছে তাদের জুটি। মার্শের পর ৩৩তম ফিফটি তুলে নিয়েছেন ওয়ার্নার। বামহাতি ওপেনার ফিফটির দেখা পেয়েছেন ৫২ বলে। তাতে ছিল ৬টি চার।
৩৭ বলে ফিফটি তুলে নিয়েছেন মার্শ
হেডের বিদায়ের পর মূলত চড়াও হয়ে খেলেছেন মিচেল মার্শ। ৩৭ বলে তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯তম ফিফটি। তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ১৫তম ওভারেই অজিদের স্কোর দাঁড়ায় এক উইকেটে ১০০। অপরপ্রান্তে থাকা ওয়ার্নার অবশ্য ধীরে সুস্থে খেলে তার সঙ্গে জুটি গড়েছেন।
হেডের বিদায়ের পর পাওয়ার প্লেতে অস্ট্রেলিয়ার ৫৮
১২ রানে ট্রাভিসকে হেডকে তুলে নিয়েই অজিদের চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সেই চাপ মুহূর্তেই দূর করেছেন মিচেল মার্শ। তার চড়াও হওয়া ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে স্কোর দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৫৮। ১০ ওভার শেষে তার স্কোর ছিল ২১ বলে ৩০ রান! সঙ্গে থাকা ডেভিড ওয়ার্নার ধীরে সুস্থে খেলছেন।
শুরুতেই হেডকে বোল্ড করেছেন তাসকিন
অস্ট্রেলিয়াকে ৩০৭ রানের লক্ষ্য দিয়ে শুরুতেই আঘাত হেনেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারে আক্রমণাত্মক ওপেনার ট্রাভিস হেডকে বোল্ড করেছেন তাসকিন। তার গতিময় বোলিংয়ে হেড টেনে শট খেলতে গিয়েছিলেন। বল ব্যাটের কানায় লেগে আঘাত করে স্টাম্পে। ফেরার আগে ২ চারে ১১ রান করেছেন হেড।
আরও পড়ুন: গভীর রাতে দেশে ফিরছে ‘ব্যর্থ’ বাংলাদেশ দল