ডেস্ক রিপোর্ট ।।
আইসিসি’র ২০২৫-২৯ মেয়াদের জন্য ঘোষিত নতুন ওয়ানডে স্ট্যাটাসপ্রাপ্ত ১৬টি নারী দলের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (ইউএই) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন নিয়ম ১২ মে থেকে কার্যকর হবে।
এই ১৬ দলের মধ্যে পাঁচটি অ্যাসোসিয়েট সদস্য: থাইল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পাপুয়া নিউগিনি (পিএনজি), স্কটল্যান্ড এবং ইউএই। ইউএই ছাড়া বাকি চার দল আগের মতোই তাদের ওয়ানডে স্ট্যাটাস ধরে রেখেছে।
থাইল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে অংশগ্রহণ করে ওয়ানডে মর্যাদা নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে, পিএনজি ও নেদারল্যান্ডস টি২০আই র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে ওয়ানডে স্ট্যাটাস ধরে রাখে—যেখানে পিএনজি ১৩তম এবং নেদারল্যান্ডস ১৫তম অবস্থানে আছে। থাইল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড যথাক্রমে ১১তম ও ১২তম।
পাকিস্তানে আয়োজিত নারী বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে ছয় দলের মধ্যে স্কটল্যান্ড চতুর্থ এবং থাইল্যান্ড সর্বশেষ হয়। স্কটল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও থাইল্যান্ডকে হারায়, অপরদিকে থাইল্যান্ড পাঁচটি ম্যাচেই পরাজিত হয়। এই বাছাই থেকে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ মূল বিশ্বকাপের টিকিট পায়, তবে রাজনৈতিক কারণে পাকিস্তান ভারতের মাঠে খেলবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত নারী দলের অধিনায়ক এশা ওজা
ইউএই টি২০আই র্যাঙ্কিংয়ে ১৬তম অবস্থানে থেকে, র্যাঙ্কিং হালনাগাদের সময় সবচেয়ে উচ্চস্থানধারী অ্যাসোসিয়েট দল হিসেবে ওয়ানডে মর্যাদা অর্জন করে। ওডিআই স্ট্যাটাস ধরে রাখতে হলে চার বছরে কমপক্ষে আটটি ওয়ানডে খেলতে হয়।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়া ২৯৯ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে এবং দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইংল্যান্ডের (২৭৯) সঙ্গে ব্যবধান ১৮ থেকে বেড়ে হয়েছে ২০।
বর্তমানে ইউএসএ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলছে। টি২০ সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারে তারা, তবে প্রথম ওডিআই সাত উইকেটে জেতে। দ্বিতীয় ও শেষ ওডিআই হবে শনিবার।
অন্যদিকে ইউএই ব্যাংককে চারজাতি টি২০ সিরিজ খেলছে, যেখানে অংশ নিচ্ছে স্বাগতিক থাইল্যান্ড, হংকং ও কুয়েত।