খেলা ডেস্ক।।
পার্থ টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলায় রঙ বদলেছে কয়েকবার। একটা সময় মনে হচ্ছিল সহজেই জিততে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। দিন গড়াতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় পাকিস্তান। জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে তারা। তবে প্যাট কামিন্সের আগুন বোলিংয়ে সফরকারীদের চেপে ধরেন। তারপরও পাকিস্তানের প্রতিরোধে ধরেই নেওয়া হয়েছিল, অন্তত পঞ্চম দিনে গড়াতে যাচ্ছে খেলা। কিন্তু দিন শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে এলোমেলো তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। দুই ইনিংসেই অজি অধিনায়কের দুর্দান্ত বোলিংয়ে চার দিনে শেষ হলো খেলা, ৭৯ রানে বক্সিং ডে টেস্ট জিতে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ তে এগিয়ে থেকে নিশ্চিত করলো অজিরা।
আগের দিন দুর্দান্ত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে চেপে ধরেছিল পাকিস্তান। শাহীন শাহ আফ্রিদি ও মীর হামজার বলে লণ্ডভণ্ড স্বাগতিকরা। কিন্তু স্টিভ স্মিথ ও মিচেল মার্শ দাঁড়িয়ে যান। ৬ উইকেটে ১৮৭ রানে দিন শেষ করে তারা। কিন্তু চতুর্থ দিন ১৬ রানে অপরাজিত খেলতে নামা অ্যালেক্স ক্যারি হাল ধরেন। ব্যাটিং অর্ডারে এদিন তিনিই ছিলেন একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটার এবং তার সৌজন্যে আর ৭৫ রান যোগ করে অজিরা। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ২৬২ রানে অলআউট হওয়ার পথে ক্যারি অবদান রাখেন হাফ সেঞ্চুরিতে। ১০১ বলে ৮ চারে ৫৩ রান করেন তিনি।
এদিন আমির হামজা নেন দুই উইকেট। চারটি করে উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার শাহীন ও হামজা।
পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩১৭ রানের। প্রথম সেশনেই তারা ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিককে (৪) হারায়। ইমাম উল হককে (১২) ফেরান কামিন্স। এরপর প্রতিরোধ গড়েন শান মাসুদ ও বাবর আজম। ৬১ রানে এই জুটি ভাঙে মাসুদের বিদায়ে। ৭১ বলে ৭ চারে ৬০ রান করেন অধিনায়ক। বাবর ও সৌদ শাকিলের ৩৬ রানের জুটি ভেঙে পাকিস্তানকে বিপদে ফেলেন জশ হ্যাজেলউড। ৭৯ বলে ৪১ রান করে তার শিকার হন বাবর। সৌদ শাকিলকে (২৪) হারিয়ে আরও চাপে পড়ে পাকিস্তান। ১৬২ রানে তারা হারায় ৫ উইকেট।
ওই কঠিন পরিস্থিতি সামলে নেয় সফরকারীরা, সাহায্য করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আগা সালমান। তাদের জুটিতে পাকিস্তানের জয়ের স্বপ্ন উজ্জ্বল হতে থাকে। তবে ৫৭ রানের এই জুটি ভেঙে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন কামিন্স। রিজওয়ান ৩৫ রান করে তার শিকার হন। পরের ওভারে আমির জামালের ফিরতি ক্যাচ ধরেন অজি অধিনায়ক। শাহীনকে মার্নাস লাবুশেনের ক্যাচ বানিয়ে পঞ্চম উইকেট পূর্ণ করেন কামিন্স। পরের ওভারে মিচেল স্টার্ক পরপর দুই বলে আগা ও হামজাকে ফিরিয়ে জয় নিশ্চিত করেন। আগা ৭০ বল খেলে ৫০ রানে আউট হন। ৫ বলের মধ্যে শেষ তিন উইকেট হারায় পাকিস্তান।
পাকিস্তানকে ২৩৭ রানে অলআউট করতে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট নেন কামিন্স, ১৮ ওভারে ৪৯ রান দেন তিনি। চারটি পান স্টার্ক। দুই ইনিংসেই পাঁচটি করে উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন কামিন্স।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বৃষ্টির হানা