স্টাফ রিপোর্টার ।।
রাজধানীর গাবতলী হাটে শুরু হয়েছে কোরবানির পশুর আনুষ্ঠানিক বেচাকেনা। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে হাটের প্রথম দিনেই ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বিক্রেতা ও ক্রেতা—উভয় পক্ষই জানাচ্ছেন, দাম মোটামুটি সন্তোষজনক এবং বেচাকেনাও আশানুরূপ।
গাবতলীতে পশু কিনতে আসা মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের বাসিন্দা ইমদাদ উল্লাহ জানান, তিনি মাঝারি আকারের একটি গরু ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় কিনেছেন। শুরুতে বিক্রেতা ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দাম চাইলেও দর কষাকষির পর এই দামে গরুটি কিনে তিনি সন্তুষ্ট। তাঁর ভাষায়, “বাজারের দাম স্বাভাবিক।”
একই হাটে বিকেল চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সময়ে শতাধিক ক্রেতাকে গরু বা খাসি কিনে হাট ত্যাগ করতে দেখা যায়। বিক্রিত পশুর মধ্যে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুই বেশি। এসব গরুর দাম ছিল ৭২ হাজার থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকার মধ্যে।
মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের বাসিন্দা বাবুল খন্দকার ২৩ হাজার টাকায় একটি মাঝারি আকৃতির বাদামি খাসি কিনেছেন। তিনি বলেন, “হাটে এসেই খাসিটি এবং এর দাম পছন্দ হয়ে গেছে, তাই আর দেরি করিনি।” তাঁর ভাই সেলিম খন্দকার হাসিল পরিশোধ করে পাশে এসে জানান, “সুযোগ থাকলে আজই গরুটাও কিনে ফেলতাম।”
হাট সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রথম দিনের তুলনায় এ বছর গরু-ছাগলের বিক্রি ভালো হচ্ছে। ক্রেতারা দাম নিয়ে তুলনামূলক সন্তোষ প্রকাশ করছেন।
হাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নির্ধারিত জায়গা ছাড়িয়ে পাশের ইট-বালুর গদিও গরুর ছাউনিতে পরিণত হয়েছে। সেখানে ত্রিপল ও প্যান্ডেল টাঙিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আনা গরু রাখা হয়েছে। মূল ফটকে ক্রেতাদের ভিড় ও পশু বাছাইয়ের ব্যস্ততা ছিল চোখে পড়ার মতো।
সিরাজগঞ্জ থেকে গরু নিয়ে আসা ব্যবসায়ী আলতাফ মিয়া জানান, তিনি ২৪টি গরু এনেছেন, যার মধ্যে মঙ্গলবার তিনটি গরু বিক্রি হয়েছে। এর একটি বিক্রি হয়েছে ৯৫ হাজার টাকায়, অন্য দুটি ১ লাখ ৩০ হাজার এবং ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকায়।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এবার মোট ১৯টি কোরবানির পশুর হাট বসেছে। ক্রমেই বাড়ছে পশু আমদানি ও ক্রেতার উপস্থিতি।