খেলা ডেস্ক।।
প্রথম টেস্টের সংক্ষিপ্ত স্কোর: তৃতীয় দিন- বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ২ ওভারে ৯/২ (মুমিনুল ০*, জাকির হাসান ৩*, মাহমুদুল হাসান জয় ০, নাজমুল হোসেন শান্ত ৬), লক্ষ্য ৫১১ রান।
শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংসেঃ ১১০.৪ ওভারে ৪১৮/১০ ( রাজিথা ৪*; দিমুথ করুণারত্নে ৫২, নিশান মাদুশকা ১০, কুশল মেন্ডিস ৩, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ২২, দিনেশ চান্ডিমাল ০, বিশ্ব ৪, ধনাঞ্জয়া ১০৮, প্রবাথ ২৫, লাহিরু ০, কামিন্দু ১৬৪) শ্রীলঙ্কার লিড ৫০০ রান।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে: ৫১.৩ ওভারে ১৮৮/১০ (রানা ০*; জাকির ৯, শান্ত ৫, মুমিনুল ৫, জয় ১২, শাহাদাত ১৮, লিটন ২৫, তাইজুল ৪৭, মিরাজ ১১, শরিফুল ১৫, খালেদ ২২)।
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে: ৬৮ ওভারে ২৮০/১০ (রাজিথা ৬*; মাদুশকা ২, মেন্ডিস ১৬, করুণারত্নে ১৭, ম্যাথুজ ৫, চান্ডিমাল ৯, কামিন্দু ১০২, ধনাঞ্জয়া ১০২, প্রবাথ ১, ফার্নান্ডো ৯, কুমারা ০)।
৫১১ রানের অসম্ভব লক্ষ্যে বরাবরের মতো প্রত্যাশিত সূচনা হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই উইকেট হারিয়েছে। বিশ্ব ফার্নান্ডোর বলে এলবিডাব্লিউ হয়েছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। আম্পায়ার আউট দিলে জয় রিভিউ নিয়েছিলেন। যদিও লাভ হয়নি তাতে। জয় সাজঘরে ফিরেছেন রানের খাতা না খুলে। জয়ের আউটের কোনও প্রভাব অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ওপর যদিও পড়েনি। নেমে একই ওভারে চার মেরেছেন। দ্বিতীয় ওভারেও একইভাবে আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। তাতে বিপদ ডেকে আনেন তিনি। রাজিথার অফ স্টাম্পের যথেষ্ট বাইরের বল খেলতে গিয়ে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ৬ রানে আউট হয়েছেন।
আগের দিন ৫ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা তৃতীয় দিনের শুরুতেই বিশ্ব ফার্নান্ডোকে হারিয়েছিল। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও চাপের এই সময়টায় লঙ্কান ইনিংসকে পরিণতি দিলেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। টানা দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি পেয়েছেন তারা। প্রায় দুই সেশন বাংলাদেশকে শাসন করা ১৭৩ রানের সপ্তম এই জুটি ভাঙে ধনাঞ্জয়ার (১০৮) বিদায়ে। ততক্ষণে লিড ছিল ৩৯১। তার পর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে একার লড়াইয়ে দলের লিড পাঁচশ ছাড়িয়েছেন কামিন্দু। প্রবাথকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ৬৭ রান যোগ করেছেন। রাজিথাকে নিয়েও শেষ জুটিতে যোগ করেছেন ৫২! তাতে দ্বিতীয় ইনিংসে রানের পাহাড়ে চড়ে লঙ্কান দল। ২৩৭ বলে ১৬৪ রান করা কামিন্দুকে তাইজুল আউট করলে ৪১৮ রানে থেমেছে লঙ্কানদের ইনিংস। তারা ৫১০ রানের লিড পাওয়ায় বাংলাদেশের সামনে দাঁড়িয়েছে অসম্ভব লক্ষ্য (৫১১)। টেস্টে সফল রান তাড়ার নজিরটি ৪১৭ রানের।
৭৪ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৭৫ রানে দুটি নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ১২৮ রানে নাহিদ রানাও দুটি শিকার করেছেন। একটি করে নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ।