স্টাফ রিপোর্টার।।
ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হলেও দেশটি বাংলাদেশে গণতন্ত্র চায় না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গণতান্ত্রিক বিশ্বে ভারতকে বাদ দেয়া যায় না জানিয়ে তিনি বলেন, যাদের ৭২ বছরের গণতন্ত্রের প্রচলন আছে। তাদের নিজের দেশে গণতন্ত্র থাকলেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকুক সেটা তারা চান না। বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৮তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম। সভাপতিত্ব করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জন্য আমাদের যে চলার গতি সেটি কিন্তু থেমে নাই। এটি জাতির জন্য সুভাগ্য। সব-শ্রেণি পেশার মানুষই আজ আহত, নিষ্পেষিত। তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত পুরো দেশকে নিয়ে। সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, ৭ জানুয়ারি একতরফা ভাবে যে নির্বাচন হয়েছে কেউ বলে ডামি ভোট, কেউ বলে স্বামী ভোট, আর আমি বলি সমকামী ভোট। বর্তমান সরকার তৃতীয় লিঙ্গের সরকার।
ভারতের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে সার্বভৌমত্ব থাকবেই কেন, আমাদের সেনা ঘাঁটিতে যদি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিস করা যায়, আসা যায়। তাহলে আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিরাপদ থাকবে, এটা ভাবা আর বোকার স্বর্গে বাস করা এককথা। পৃথিবীর কোন দেশে এমন নিয়ম আছে? প্রশ্ন রাখেন তিনি।
তিনি আরও বরেন, ভারতের সহযোগিতায় যদি ৯ মাসে দেশ স্বাধীন হয়, আর সহযোগিতা না করে যদি ৯ বছর লাগত তাহলে এমন পঙ্গুত্ব বরণ করতে হতো না বলে মন্তব্য করেন তিনি। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গালাগালি করে কোনো লাভ নেই। কারণ তার ক্ষমতায় থাকতে হলে আর স্বশরীরে বেঁচে থাকতে হলে বিদেশিদের এই স্বার্থ সেই চরিতার্থ করার সুগম পথ করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই।
‘একতরফা ভাবে যে নির্বাচন হয়েছে কেউ বলে ডামি ভোট, কেউ বলে স্বামী ভোট, আর আমি বলি সমকামী ভোট। বর্তমান সরকার তৃতীয় লিঙ্গের সরকার’—যোগ করেন গয়েশ্বর। শিল্পমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির এই নেতা বলেন, ইফতারে আপেল, খেজুর খাওয়ার যদি প্রয়োজন না থাকে তবে এগুলো রাখার দরকার কী এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ গুলো যেন দোকানে না দেখি।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, যেদিন বাংলাদেশ ভালো থাকে না, সেদিন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্য ভালো থাকে না। তারুণ্যের প্রতীক তারেক রহমান দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এর প্রতীক। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বয়কট করে যে বিপ্লবের ডাক দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, সে বিপ্লবে ছাত্র সমাজের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অংশ গ্রহণ করা আহ্বান জানান তিনি।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, আজকের এই দিনটি কালোদিন, একইসঙ্গে আন্দোলনের দিন। ছাত্রদল বিশ্বাস করে এই দিনের স্মরণ করে আগামীতে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ত্বরান্বিত করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপির সহ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ও বিএফইউজের একাংশের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী , সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ৭ই মার্চের ভাষণ মানুষকে শুধু উদ্বুদ্ধ করেনি, স্বাধীনতাও এনেছে: প্রধানমন্ত্রী