স্টাফ রিপোর্টার ।।
শেষ ওভারে রংপুরের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। বরিশালের অধিনায়ক কাইল মায়ার্সের হাতে তুলে দেন বল। পার্টটাইম বোলার হিসেবে কাজটা মায়ার্সের জন্য সহজ ছিল না। কিন্তু নুরুল হাসানের ব্যাটে সেই চাপ ভয়ঙ্কর হয়ে ফিরে আসে বরিশালের জন্য। শেষ ওভারের প্রতিটি বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নুরুল তুললেন ৩০ রান। ৩ ছক্কা ও ৩ চারে গড়া এই ইনিংসে রংপুর ম্যাচ জিতে নেয় ৩ উইকেটে। টুর্নামেন্টে অপরাজিত থেকে ছয় ম্যাচে টানা জয় তুলে নেয় দলটি।
বরিশালের শক্তিশালী শুরু
এর আগে বরিশালের ইনিংস শুরু হয় দারুণভাবে। তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেনের উদ্বোধনী জুটি তোলে ৮১ রান। তামিম করেন ৩৪ বলে ৪০ এবং নাজমুল করেন ৩০ বলে ৪১। পরে কাইল মায়ার্স ও ফাহিম আশরাফের ঝড়ো ব্যাটিং বরিশালকে নিয়ে যায় ১৯৭ রানের চূড়ায়। শেষ ২ ওভারে তারা যোগ করেন ৪৪ রান। মায়ার্স অপরাজিত থাকেন ২৯ বলে ৬১ রানে, আর ফাহিম করেন ৬ বলে ২০ রান।
রংপুরের ধীরগতির শুরু ও নাটকীয় শেষ
১৯৮ রানের লক্ষ্যে রংপুরের শুরুটা ছিল ধীরগতির। প্রথম ৭ ওভারে মাত্র ৪১ রান তোলে দলটি। তবে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ইফতিখার আহমেদ ও খুশদিল শাহের ৫৩ বলে ৯১ রানের জুটি দলকে জয়ের পথ দেখায়। ইফতিখার ও খুশদিল করেন সমান ৪৮ রান করে।
শেষ ২ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩৯ রান। খুশদিল ১৯তম ওভারে দুই ছক্কা হাঁকিয়েও পরের বলেই আউট হন। এর মধ্যেই মেহেদী হাসান অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আইনে আউট হয়ে নতুন নাটক যোগ করেন।
নুরুল হাসানের ইতিহাস গড়া ইনিংস
শেষ ওভারে নুরুল হাসানের প্রয়োজন ছিল অবিশ্বাস্য কিছু করার। তিনি সেটিই করলেন। ৭ বলে ৩২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে দলকে নিয়ে গেলেন জয়ের বন্দরে। তার এই ইনিংস স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়ায় শেষ ওভারে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
বরিশালের জন্য কষ্টের দিন
বরিশালের জন্য দিনটি হতে পারত জয়ের, যদি না শেষ ওভারে নুরুলের ঝড় তাদের হাতছাড়া করে দিত। কাইল মায়ার্সের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স আর তামিম-নাজমুলের জুটি যথেষ্ট হলেও রংপুরের অধিনায়কের ব্যাটে সেগুলো ম্লান হয়ে যায়।