স্টাফ রিপোর্টার ।।
চট্টগ্রামে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটরের হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক ফেসবুক পোস্টে ফরহাদ মজহারকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন সাবেক ছাত্রনেতা ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার খোমেনী ইহসান। তাঁর মতে, হিন্দুত্ববাদীদের সহিংস কার্যক্রম এবং সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ফরহাদ মজহারের ভূমিকা সন্দেহজনক। তিনি দাবি করেন, হত্যাকাণ্ডের পর এই ধরনের মানুষদের ভূমিকা প্রকাশ্যে আসছে।
খোমেনী ইহসানের বক্তব্য অনুযায়ী, ফরহাদ মজহার দীর্ঘদিন ধরে সাম্প্রদায়িকতা উসকে দেওয়ার কাজ করে আসছেন। এর ফলে সমাজে বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে, যা শান্তি এবং নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ। তিনি উল্লেখ করেন, হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের উন্নয়নের বদলে এ ধরনের কাজের মাধ্যমে বরং বিভাজন বাড়ছে।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর সঙ্গে ফরহাদ মজহার
তিনি আরো বলেন, “ফরহাদ মজহারের অতীত কর্মকাণ্ড ও সাম্প্রতিক অবস্থানের কারণে তাঁকে গ্রেফতার করে বিচার হওয়া উচিত।”
পাঠকদের জন্য খোমেনী ইহসানের ফেসবুক পোস্ট হুবহু তুলে ধরা হলো—
চট্টগ্রামে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হত্যার ঘটনার পর চিন্ময়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা ফরহাদ মযহারকে গ্রেপ্তার করা অনিবার্য হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তখনো চিন্ময়ের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল। এরকম লোকের কাছে ফরহাদ মযহার বিনা মতলবে দেখা করতে যায়নি। ফরহাদ দেখা করে আসার পরের পরিস্থিতি এখন সবার কাছেই পরিষ্কার। হিন্দুত্ববাদীরা এপিপি সাইফুলকে জবাই করে হত্যা করেছে৷ এরকম সন্ত্রাসবাদী ঘটনার পর জড়িত হিন্দু জঙ্গীদের পাশাপাশি ফরহাদ মযহারকেও গ্রেপ্তার করা দরকার। মনে রাখনে বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে জঙ্গী সংগঠন জেএমবি আদালতে বিচারক-আইনজীবী হত্যা করেছিল, ওই জেএমবির পক্ষেও তখন ফরহাদ মযহার সরব ছিল। এখন হিন্দুত্ববাদী জঙ্গীদের পক্ষেও ফরহাদ সরব এবং তাদের সঙ্গে দহরম মহরমে লিপ্ত। এ অবস্থায় ফরহাদ মযহারকে গ্রেপ্তার করার কোনো বিকল্প নাই।
চট্টগ্রামে সম্প্রতি এক সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটরের হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বিভিন্ন মহল থেকে বিচারের দাবি উঠেছে। এমন প্রেক্ষাপটে খোমেনী ইহসানের এই মন্তব্য সরকারকে নতুন ভাবনায় পর্যবসিত করবে বলে ধারণা করা যায়।