ক্রিকইনফো ।।
২০১২ সালের পর জয়পুরে কখনও জয় পায়নি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এবার যেন পুরনো সব হিসেব মিটিয়ে দিল তারা — প্রথমে মাঠের ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ আইপিএল স্কোর গড়ে, এরপর রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে দেয় ১০০ রানে, এবং উঠে যায় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। অন্যদিকে, এই হারেই প্লে-অফ থেকে ছিটকে গেল রাজস্থান।
প্রথম তিন ওভার ছিল একেবারে নিস্তরঙ্গ — মাত্র ১৬ রান, রোহিত বেঁচে যান DRS-এর কল্যাণে। এরপরই গতি বাড়ান রোহিত, শেষ তিন ওভারে আসে ৪২ রান। তিনি বুঝে ফেলেন আর্চারের কৌশল, জায়গা বানিয়ে চার হাঁকাতে থাকেন। অন্যদিকে, রিকেলটনও দারুণ খেলেন — শুধু লেগসাইডেই ৯ বলে করেন ৩৪ রান। রাজস্থানের স্পিনারদের বিপক্ষে বারবার এগিয়ে এসে মারেন ছোটার্ম পুল, লম্বা বাউন্ডারি অতিক্রম করতে পিছপা হননি।
ওপেনিং জুটি ভাঙলেও তা সুফল আনে মুম্বাইয়ের, কারণ তখনো ৮.১ ওভার বাকি। সূর্যকুমার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক, প্রথম ৭ বলের ৬টিতেই মারার চেষ্টা। তার ইনিংসটি ছিল আইপিএল ইতিহাসে ১১তম টানা ২৫+ রানের ইনিংস — একটি রেকর্ড। ২৩ বলে ১৩টি বাউন্ডারি চেষ্টার মাঝে আর্চারের একটি ফুলটসকে মাটিতে পড়ে গিয়েও চার মারেন!

সেঞ্চুরির পরের ম্যাচেই শূন্য, সাঘরের পথে বৈভব সূর্যবংশী
হার্দিক পাণ্ড্য ছিলেন ব্যাটিংয়ের অন্য স্তরে — উইকেটের গভীরে দাঁড়িয়ে ফারুকিকে এক ওভারে তিনটি চার ও একটি ছক্কা মারেন। সূর্য ও হার্দিকের তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৪৪ বলে ৯৪ রান। প্রথমবারের মতো চারজন মুম্বাই ব্যাটার এক ইনিংসে ৪০+ করলেন।
গত ম্যাচে ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করা রাজস্থানের কিশোর তারকা বৈভব সুর্যবংশী এবার প্রথম বলেই আউট। সবার মনে পড়ে গেল আগের ইনিংস, কিন্তু আজ ভাগ্য তাঁর সঙ্গে ছিল না।
বোল্ট প্রথমে ছক্কা খেলেও ঘাবড়ে যাননি — দ্রুত তুলে নেন যশস্বী জয়সওয়ালের উইকেট এবং দেন একহাতে ‘ফিঙ্গার গান’ সেলিব্রেশন। অন্যদিকে, বুমরাহর বাউন্সারে পরাগ পুল মারতে গিয়ে আউট হন — একসময় বল বাতাসে থাকতেই তার কাঁধ নেমে গিয়েছিল যেন বলতেন, “আমি পারতামই না।”
মুম্বাই প্রথম ৬ ওভারে ৫টি উইকেট তোলে — এবারই তৃতীয়বার এই মৌসুমে পাওয়ার প্লেতে চার বা তার বেশি উইকেট তাদের।
শেষপর্যন্ত ১৬.১ ওভারে ১১৭ রানেই গুটিয়ে যায় রাজস্থান। আর্চার ছিলেন সর্বোচ্চ স্কোরার (৩০), এবং তাদের সেরা জুটি ছিল ১০ম উইকেটে।