স্টাফ রিপোর্টার ।।
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বসানোর দাবিতে উত্তাল রাজধানী। সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি মেনে না নেওয়ায় আজ বুধবার সকালে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নেয় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
সকাল ১০টার আলটিমেটামের পরপরই বিক্ষোভকারীরা ঢাকার মৎস্য ভবন মোড় অবরোধ করেন। এর ফলে আশপাশের এলাকায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। একই সময়ে কাকরাইল, যমুনা ভবন এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেও দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের জড়ো হতে।
ঢাকাবাসীর ব্যানারে চলা এই কর্মসূচিতে দাবি একটাই—ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে।
বিক্ষোভ সমন্বয়কারী ও সাবেক সচিব মশিউর রহমান মঙ্গলবার বিকেলে ঘোষণা দেন, “বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে যদি সিদ্ধান্ত না আসে, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দেব এবং প্রয়োজনে ঢাকা অচল করে দেব।”
এই দাবি সমর্থনে একাত্মতা প্রকাশ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মচারী ইউনিয়ন। তারা হুঁশিয়ারি দেয়—দাবি না মানা হলে নাগরিক সেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে। আজ সকাল থেকেই নগর ভবনের প্রধান ফটকগুলোতে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। অধিকাংশ কর্মকর্তা অঘোষিত ছুটিতে চলে গেছেন।
জানা গেছে, নগর ভবনে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়াও গত ১৪ মে থেকে অনুপস্থিত। ওই দিন থেকেই চলছিল এই মেয়র দাবির আন্দোলন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মোহাম্মদ হোসাইন নামে এক ব্যক্তি বলেন, “আদালতের রায় থাকার পরও সরকারের পক্ষ থেকে বারবার সময়ক্ষেপণ ও টালবাহানা করা হচ্ছে। আমরা অনেক ধৈর্য ধরেছি। এবার রাস্তায় নেমে নিজেদের অধিকার আদায় করব।”
এদিকে কাকরাইল মোড়েও হাজারো নেতা-কর্মী অবস্থান নিয়েছেন যমুনা ভবনের সামনে। পুলিশের পক্ষ থেকে আগে থেকেই সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয় যাতে বিক্ষোভকারীরা সামনে এগোতে না পারেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ পেশাজীবী জোটের ব্যানারে পৃথক সমাবেশ চলছে, যেখানে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মোড়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে এবং বিক্ষোভকারীরা সরকারের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত রাজপথেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন।