বিশেষ প্রতিনিধি ।।
পাকিস্তানের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আজ সকালে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য মনোনীত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জাতীয় সঙ্গীতের সুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানি প্রবাসী, শিক্ষার্থী, স্থানীয় গণমাধ্যম, একাডেমিয়া, থিংকট্যাঙ্ক এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী/পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ বাণী পাঠ করা হয়।
বাণীতে নেতৃবৃন্দ জাতিকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে পাকিস্তানের জাতির জনক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, আল্লামা মুহাম্মদ ইকবাল ও পাকিস্তান আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তারা সম্প্রতি ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মারকা-এ-হক এবং অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস-এ বিজয়ে সশস্ত্র বাহিনী ও শহীদদের অবদানের প্রশংসা করেন। এই বিজয় স্বাধীনতার তাৎপর্য বাড়িয়েছে, জাতীয় গৌরব ফিরিয়ে এনেছে, দ্বিজাতি তত্ত্বকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে এবং পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার অঙ্গীকারকে আরও দৃঢ় করেছে বলে বাণীতে উল্লেখ করা হয়। নেতারা এছাড়াও ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে (আইআইওজেকে) আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের ন্যায্য সংগ্রামে নিয়োজিত কাশ্মীরি জনগণের প্রতি অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দার বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানি প্রবাসীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি পাকিস্তানের জন্য পূর্বসূরিদের সংগ্রামকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন। মারকা-এ-হক অভিযানের সাফল্যকে একটি বড় কৌশলগত মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিজয় পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় জাতীয় ঐক্য ও সশস্ত্র বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপের প্রতিফলন। তিনি আইআইওজেকে’র জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের ন্যায্য সংগ্রামে পাকিস্তানের অবিচল কূটনৈতিক, নৈতিক ও রাজনৈতিক সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।