স্টাফ রিপোর্টার ।।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) পরিচালিত টাউন ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাক্ট-এ বড় ধরনের পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশোধিত অধ্যাদেশের খসড়া ইতিমধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, যা আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে কার্যকর হবে।
প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো:
- বোর্ড সদস্য সংখ্যা: ৫ জন থেকে বাড়িয়ে ৭ জন করার প্রস্তাব।
- চাকরির মেয়াদ: ২৫ বছর পূর্ণ হলে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার বিধান।
- আন্তঃকর্তৃপক্ষ বদলি: এক স্থানে তিন বছর পার হলে রাজউক থেকে অন্য উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে বদলি এবং উল্টোভাবে অন্য কর্তৃপক্ষ থেকেও রাজউকে আসার সুযোগ।
- চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মেয়াদ: ৩ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫ বছর করার প্রস্তাব।
- ইমারতের সংজ্ঞা: এখন যেকোনো অবকাঠামো ইমারত হিসেবে গণ্য হবে।
- মন্ত্রণালয়ের মতামত: রাজউকের সিদ্ধান্ত গ্রহণে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা কমানো হয়েছে।
পটভূমি ও প্রতিক্রিয়া:
রাজউকের স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এই পরিবর্তন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তাঁদের দাবি, ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (ডিআইটি) থাকাকালে বোর্ডে দক্ষ পেশাজীবীরা থাকতেন, যারা অনৈতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেন। ১৯৮৭ সালে ডিআইটি ভেঙে রাজউক গঠনের পর থেকে আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ ও পরিকল্পনাহীন নগরায়ণ বেড়েছে বলে অভিযোগ।
অনেকে চান ডিআইটির আদলে পেশাজীবী-নির্ভর বোর্ড ফিরিয়ে আনা হোক। তাঁদের মতে, প্রেষণে আসা সরকারি কর্মকর্তারা অল্প সময়ের জন্য রাজউকে কাজ করে চলে যান, কিন্তু তাঁদের অনিয়মের দায় স্থায়ী জনবলকে নিতে হয়।
কর্মকর্তাদের বক্তব্য:
- ড. আলম মোস্তফা, রাজউক বোর্ড সদস্য: “বড় কোনো পরিবর্তন নয়, শুধু ভাষাগত রূপান্তর হয়েছে।”
- রিয়াজুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যান: “মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত না করা পর্যন্ত মন্তব্য করা ঠিক নয়।”
- আব্দুর রহমান তরফদার, অতিরিক্ত সচিব: “কার্যক্রমে গতি আনতে বদলির নিয়ম ও ২৫ বছর পর অবসরের বিধান যুক্ত করা হয়েছে।”