স্টাফ রিপোর্টার ।।
আজ সোমবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ঢাকার চিফ ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানার সামনের ফটকে একটি নীল রঙের বড় প্রিজন ভ্যান এসে দাঁড়ায়। ভ্যান থেকে নামানো হয় ঢাকা-৭ ও ঢাকা-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমকে। তাঁকে নিয়ে আদালতের ভেতরে প্রবেশের সময় সাংবাদিকদের দেখে তিনি হাসতে থাকেন। এ সময় তাঁর দুই হাত ধরে ছিলেন পুলিশ সদস্যরা।
হাজতখানায় হাজী সেলিমের আগেই উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে বিচারক এজলাসে আসেন। এর আগে হাজী সেলিমসহ অন্যদের এজলাসকক্ষে আনা হয়। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা হাজী সেলিমকে পুলিশ সদস্যরা ধরে রেখেছিলেন। আদালতে তাঁর আইনজীবী প্রাণনাথ রায় জামিনের আবেদন করেন। তিনি জানান, হাজী সেলিম অসুস্থ এবং কারাগারে তাঁর যথাযথ সেবার অভাব রয়েছে। কিন্তু পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত হাজী সেলিমের জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে, আদালতে হাজির থাকা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু পেপারের ওপর কিছু লিখতে দেখা যায়। এরপর তিনি সেটি একজন আইনজীবীর হাতে তুলে দেন।
হাজী সেলিমসহ অন্যান্য আসামিদের পৃথক হত্যা মামলায় রিমান্ড আবেদন শুনানি চলছে। আদালত দুপুরের দিকে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানা গেছে।