সাদ রহমান ।। জামাতের আমীরের সঙ্গে সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও মনজুরুল আহসান বুলবুলদের আপেল খাওয়ার ঘটনা সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিত।
এইটারে আকস্মিক সাক্ষাৎ হিসাবে দেখতে চাই না।
পরীক্ষিত আওয়ামী লীগের সাংবাদিকদেরকে আপেল খাওয়াইয়া রিহ্যাবিলিটেশন দেওয়ার দায়িত্ব কি আমরা জামায়াতে ইসলামকে দিছি? তাইলে এই দায়িত্ব তারা কই পাইলো?
জামায়াতের এতো (…) পাকনামির তো দরকার নাই!
জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানকে এই ঘটনায় নিন্দা জানাই।
যাদের হাত দিয়া বাংলাদেশের গণতন্ত্র খুন হইলো, সেই গণতন্ত্রের খুনীদের কাছে তার ক্ষমার বাক্স নিয়া হাজির না হইলেও চলবে।
মনজুরুল আহসান বুলবুলদেরকে ক্ষমা করা হবে কি হবে না সেইটা দেশের মানুষ ঠিক করবে, তিনি নন।
আজকাল জামাতের আমীরের এই ক্ষমার বাক্স লইয়া ঘোরাফেরার পিছনে রাজনীতি কী, তা বোঝা কঠিন কিছু না।
জামাত এখন থেকেই আওয়ামী লীগের ভোটগুলা নিজের কাছে লইতে চায়। যেহেতু আওয়ামী লীগের নির্বাচনে যাওয়ার সম্ভাবনা নাই।
কিন্তু অতিরিক্ত বুদ্ধি সবসময় উপকার বইয়া আনে না, এইটা জামাত অবিলম্বে টের পাবে।
আওয়ামী লীগের ভোট নিজের পাতে লইতে গিয়া জামাত মূলত নিজের ভোটই বড় অংকে হারাইতেছে।
বিএনপি আর জামাতের মাঝখানে ঝুলতে থাকা দোদুল্যমান ভোটাররা এখন এইসব কাণ্ডকারখানা দেইখা নিশ্চিন্তমনে বিএনপির দিকে ঝুঁইকা পড়বে।
আল্টিমেটলি, তাতে আমাদেরও লাভ আছে।
কিন্তু জামাতের এসব আর বোঝার ক্ষমতা নাই। জামাত এখন উড়তেছে।
ফেসবুকে সাদ রহমানের (পাবলিক) পোস্ট