মেঘালয় প্রতিনিধি ।।
শিলংয়ে অনুশীলনের আগে থেকেই একের পর এক ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। হোটেলে রুম সংকট, লাগেজ জটিলতা, অনুপযুক্ত মাঠ, সময় পরিবর্তনসহ নানা বিড়ম্বনায় দিন কাটছে জামাল ভূঁইয়াদের। সবশেষ অনুশীলনের সময় ও ভেন্যু নিয়েও হয়েছে নাটকীয়তা।
গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হয়ে শিলং পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। কলকাতা বিমানবন্দরে ১৩ জন খেলোয়াড়ের—including হামজা চৌধুরী—লাগেজ আটকে যায়। তারা লাগেজ পান মধ্যরাতে। হোটেলেও রুমের সংকটে লবিতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে খেলোয়াড়দের। শুক্রবার যে মাঠে অনুশীলন করতে হয়েছে, সেটি উঁচু-নিচু ও অনুপযুক্ত বলে উল্লেখ করেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। শনিবারও তাদের অনুশীলন করানো হয় টার্ফে, যেখানে ইনজুরির ঝুঁকি বেশি।
বাংলাদেশ দল মূল ভেন্যু জহুরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে চাইলেও অল ইন্ডিয়ান ফুটবল ফেডারেশন অনুমতি দেয়নি। অথচ স্বাগতিক ভারত টানা ওই স্টেডিয়ামেই অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া, শনিবার অনুশীলনের সময়ও পরিবর্তন করা হয়। প্রথমে সন্ধ্যা ৬টা নির্ধারিত থাকলেও, পরে তা সাড়ে ৭টায় সরানো হয়। এতে খেলোয়াড়দের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।
দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন জানান, আগেই খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল এসব বিড়ম্বনার জন্য। তিনি বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই ছেলেদের মেসেজ দিয়ে রেখেছিলাম, এখানে এমন হতে পারে। এসব নিয়ে আমরা ভাবছি না।’

অনুশীলনে হামজা চৌধুরী। ফাইল ফটো
রাইট ব্যাক সাদ উদ্দিন তার বিরক্তি লুকাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য ডিস্টার্বিং। সময়মতো অনুশীলন করতে পারছি না।’
২৫ মার্চ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়েই অভিষেক হবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে তার সঙ্গী হতে পারেন মোহাম্মদ হৃদয়। অনুশীলনের ফাঁকে হামজাকে নিয়ে হৃদয় বলেন, ‘হামজা ভাইকে সবসময় জিজ্ঞেস করি, কী করলে ভালো হয়। উনাকে যদি ১০০-তে ভোট দিতে বলা হয়, আমি ১০০-ই দেব।’