স্টাফ রিপোর্টার ।।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ৭৭৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রোববার (২৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৮৩ জন, চট্টগ্রামে ১৩৪ জন, ঢাকার সিটি করপোরেশনের বাইরে ১২১ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১২৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৮১ জন, খুলনায় ১১২ জন, ময়মনসিংহে ৪৪ জন, রাজশাহীতে ৪৮ জন, রংপুরে ১৯ জন এবং সিলেট বিভাগে ৭ জন।
একই সময়ে ১ হাজার ১১১ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ছাড়পত্র পাওয়া রোগীর সংখ্যা ৮৭ হাজার ৪৪২। এ বছরের ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৯০ হাজার ২৬৪ জন—এর ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৭ শতাংশ নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৮ জনসহ চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬৪। তুলনায় ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে মারা যান ৫৭৫ জন এবং আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন। ২০২৩ সালে মৃত্যু হয়েছিল ১ হাজার ৭০৫ জনের, আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

ডা. ফাহমিদা আজিম কাকলী
এদিকে কুমিল্লার গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. ফাহমিদা আজিম কাকলী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোর সাড়ে ৫টায় মারা গেছেন। কয়েক দিন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পর তার কিডনি ও লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অবস্থার অবনতি হলে শনিবার ঢাকায় আনা হয়। রাতে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি তাকে।
তার বড় ভাই মনজুরুল আজীম পলাশ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডা. কাকলীর মৃত্যুতে কুমিল্লায় শোক ছড়িয়ে পড়েছে। রোগী, সহকর্মী, স্বজন—সবার মুখেই বিষাদের ছাপ। মানবিক চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত কাকলী বিনামূল্যে বহু দরিদ্র রোগীর সিজার করিয়েছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি অধুনা থিয়েটারের সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি। সংগীত ও প্রকৃতি ছিল তার প্রিয় সঙ্গী।
স্বজনরা জানিয়েছেন, তার মরদেহ আপাতত হিমঘরে রাখা হবে। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তার একমাত্র কন্যা তুর্ণা দেশে ফিরলে জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠিত হবে।
ডা. ফাহমিদা আজিম কাকলী কুমিল্লা ময়নামতি মেডিকেল কলেজের গাইনি ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং নগর মাতৃসদন কুমিল্লার কনসালট্যান্ট ছিলেন।