স্টাফ রিপোর্টার ।।
রাজধানীর কামরাঙ্গীচর এলাকায় সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস প্রায় ৩০০টি বাড়ি কোথাও পূর্ণ, কোথাও আংশিকভাবে দখল করেছেন। এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান ও মো. জাহাঙ্গীর তাঁকে সহায়তা করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
দুদক জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের সাবেক একজন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বুড়িগঙ্গা নদী রক্ষার দাবিতে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন। এ বিষয়টি সামনে আসার পর সাবেক মেয়র ডিএসসিসির ওই দুই ম্যাজিস্ট্রেট ও দলীয় লোকজনের প্রভাবে কামরাঙ্গীচরের কাঁচা, আধাপাকা এবং ছোট ছোট পাকা প্রায় ৩০০টি বাড়ি কোথাও আংশিকভাবে, কোথাও পূর্ণভাবে দখল করে নেন।
ডিএসসিসির সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের নামে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। এছাড়াও তাঁর আরও বিভিন্ন সম্পত্তির মালিকানা রয়েছে। দুদকের গোপন অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। সম্প্রতি কমিশনের একটি বিশেষ দল এ অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।
![কামরাঙ্গীরচরের একাংশ](https://dhakabarta.net/wp-content/uploads/2024/10/Kamrangirchar-1024x683.webp)
কামরাঙ্গীরচরের একাংশ
সূত্র জানায়, দুদকের গোপন অনুসন্ধানে তাপসের বিরুদ্ধে আরও অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে। প্রকাশ্যে অনুসন্ধান চলাকালীন তাঁর নামে ও বেনামে আরও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বেরিয়ে আসবে।
দুদকের অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, সাবেক মেয়র তাপস গোপালগঞ্জে অস্তিত্বহীন মৎস্য খামার দেখিয়ে মুনাফা হিসেবে ৩৫ কোটি টাকা উল্লেখ করেছেন। পরবর্তীতে তিনি এই টাকার মধ্য থেকে ৩২ কোটি টাকায় মধুমিতা ব্যাংকের শেয়ার কিনেছেন, যেখানে তিনি একজন পরিচালক। এছাড়া, ওই ১০০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কিনেছেন।