স্টাফ রিপোর্টার ।।
দুর্নীতির মামলায় যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁর প্রায় ৩২ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পর এ আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিনের আবেদনের ভিত্তিতে নাবিল আহমেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, পাশাপাশি ধানমন্ডি, গুলশান, মোহাম্মদপুর ও পঞ্চগড়ে তাঁর নামে থাকা জমি ও ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতের আদেশ অনুযায়ী, এসব সম্পদের আনুমানিক মূল্য ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকারও বেশি। নাবিল আহমেদের ব্যক্তিগত ও কোম্পানির নামে থাকা ব্যাংক হিসাব মিলিয়ে আরও প্রায় ২৩ কোটি টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
এর আগে ৬ নভেম্বর জেমকন গ্রুপের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং কাজী নাবিলের ছোট ভাই কাজী আনিস আহমেদের দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা দেন একই আদালত। তাঁর প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ এবং ২০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়।
দুদকের মামলায় কাজী আনিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ— তিনি জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ প্রায় ৮০ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে লবিং কার্যক্রমে অর্থায়নের অভিযোগে তাঁকে ঘিরে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়, যেখানে বলা হয়, শেখ হাসিনার সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে তিনি বিদেশি সংস্থায় বিপুল অর্থ পাঠিয়েছেন।
একই পরিবারের দুই ভাই— কাজী নাবিল আহমেদ ও কাজী আনিস আহমেদ—এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের এই ধারাবাহিক অভিযোগ এখন জাতীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।