২৬৯
সাদ রহমান ।।
প্যালেস্টাইনে (Palestine) গণহত্যা চালানোর শাস্তি পাইলো কমলা হ্যারিস (Kamala Harris) ও জো বাইডেন (Joe Biden)। নেতানিয়াহুকে (Benjamin Netanyahu) ঠাণ্ডা করতে না পারার দায় তাদেরকে এইভাবে চুকাইতে হইলো।
আরব-মুসলমান ভোটারদের সামনে হিসাবটা ছিলো খুব সহজ। কমলা আসলেও যদি কিছু হবে না, আবার ট্রাম্প আসলেও যদি কিছু হবে না—তাইলে কমলাকে শাস্তি দেওয়ার এই সুযোগ তারা ক্যানো হাতছাড়া করবে?
আমার ধারণা, প্যালেস্টাইনের প্রতি সহমর্মী বহু তরুণ-বৃদ্ধ আমেরিকানও কমলা হ্যারিসকে গোপনে শাস্তি দিয়া আসছে।
কমলা হ্যারিসের পুরা ক্যাম্পেইনের সময়টায় তার মুখ ভরা ছিলো শুধু হাসি। ভাবটা এমন, হাইসাই তিনি সব জয় কইরা ফালাইবেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দুনিয়ার দুঃখ কমলার মুখে দেখতে পাওয়া যায় নাই।

জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস।
সেই হাসিঠাট্টার পরিণতি তিনি হাতেনাতে পাইলেন।
তিন সাপ্তাহ আগে অ্যান্টনি ব্লিংকেন (Antony John Blinken) ইজরায়েলে গেছিলেন নেতানিয়াহুরে পা ধইরা কিছুদিনের জন্য অফ রাখতে। কিন্তু তাতে কাজ কিছু হয় নাই। কারণ ততোদিনে তাদের ভাগ্য লেখা হইয়া গেছিলো।
আর নেতানিয়াহু তো চাইছিলোই ট্রাম্প আসুক, ফলে ঝামেলাটা নেতানিয়াহু শুধু বড় করছে। এখন সে ট্রাম্পের সঙ্গে বইসা নতুন কইরা প্ল্যান-প্রোগ্রাম শুরু করতে পারবে।
২.
প্যালেস্টাইনে গণহত্যার পক্ষে দ্ব্যর্থহীন সাপোর্ট জোগাইয়া আসা ইউরোপের জন্যও দুনিয়াটা এবার কঠিন হইয়া গেলো। এইটা ইশ্বরের তরফ থেকে আসা তাদের জন্য শাস্তিস্বরূপ।
ইউরোপ যে এতো সুখী, তার কারণ তার নিজের সামরিক খরচ করতে হয় না। সব টাকা ইউরোপ স্বাস্থ্য-শিক্ষা ইত্যাদিতে খরচ করতে পারে, আর সুখ-শান্তির পায়রা উড়াইতে থাকে।

ব্লিঙ্কেন ও নেতানিয়াহু
ইউরোপের সুখী দিনের অবসান ঘটতে যাইতেছে।
ট্রাম্পের এই মেয়াদ আগেরবারের মতো হবে না, ট্রাম্প এবার উপদেষ্টাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবেন না। ফলে ইউরোপের নিরাপত্তার পিছনে আমেরিকার সামরিক খরচ তিনি নিশ্চিতভাবেই কমাইবেন বা বন্ধ করবেন।
আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) এই বিজয়কে গাজা-গণহত্যার পানিশমেন্ট হিসেবে দেখতে চাই। এটা পশ্চিমের সুশীল শয়তানদের মুখে একটা জুতার বাড়ি।
তবে আমাদের দেশের আওয়ামী লীগের (Bangladesh Awami League) সাংস্কৃতিক দাসেরা যেভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ে নাচানাচি আরম্ভ করছে, তাতে তাদের বাকশালী মনের দেখা আবারও পাওয়া যাইতেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও শেখ হাসিনা। ফাইল ফটো
এই ইডিয়টগুলা বুঝতেই চায় না যে, শেখ হাসিনা আর তাদের ভাগ্য অলরেডি লেখা হইয়া গেছে। ট্রাম্প আইসা শেখ হাসিনারে (Sheikh Hasina) শাস্তি থেকে বাঁচাইতে যাবেন না। এইটা ট্রাম্পের কাজ না।
মোদি নিজেই চায় না আওয়ামী লীগ এই মুহূর্তে পুনর্বাসিত হোক।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) একত্র হইয়া শুধু যেই কাজটা করবে তা হইলো—ইসকন (ISKCON) ও পিনাকীদেরকে (Pinaki Bhattacharya) কাজে লাগাইয়া বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাখবে। আর তাতে লাভটা মূলত মোদির হবে।
কিন্তু আমরা বুদ্ধিজীবীরা আমাদের রোল প্লে করতে পারলে এই শয়তানি ঠ্যাকাইয়া দেওয়া কঠিন কিছু না। অলরেডি এইটা ঠেকতে শুরু করছে।
৩
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিজয়কে গাজা গণহত্যার-পানিশমেন্ট হিসেবে দেখতে পারতেছেন তো?
পাইরেন।
আপনাদের মনে থাকার কথা, প্রফেসর ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus) সাহেব তার জাতিসংঘের (United Nations) ভাষণে প্যালেস্টাইন ইস্যুতে জোর গলায় কথা বলছিলেন। সুতরাং আমরা সঠিক পথে আছি।
স্টেট র্যাশনালিটি বইলা একটা বিষয় আছে, এই জিনিসটা বুঝলেই টের পাইবেন—ডোনাল্ড আমাদের জন্য স্পষ্ট কোন থ্রেট না।
আমরা আরব-মুসলমানদের সঙ্গে আছি। আমাদের সবার নতুন লড়াই শুরু হইলো।